চট্টগ্রাম বন্দরের সামগ্রিক কর্মকাণ্ডের প্রশংসা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন : নেপালী রাষ্ট্রদূত
মোঃ শফিকুল ইসলাম চট্টগ্রাম:
ঢাকায় নিযুক্ত নেপাল দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত বানশিধর মিসরার নেতৃত্বে দুই সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দল চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন করেছেন।
তাদের আগমন উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দর ভবনের সভা কক্ষে মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) এক সৌজন্য সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম বন্দরের সার্বিক কর্মকান্ড, বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যাবলী ও বন্দরের উন্নয়নে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন।
এ সময় নেপালের রাষ্ট্রদূত বানশিধর মিসরা চট্টগ্রাম বন্দরের সামগ্রিক কর্মকান্ডের প্রশংসা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এশিয়ায় অর্থনৈতিক উন্নয়নে চট্টগ্রাম বন্দরের সুদৃঢ় অবস্থানের কথাও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বাংলাদেশকে নেপালের একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ও ভ্রাতৃত প্রতিম প্রতিবেশী হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ ও নেপালের কৃষ্টি, সংস্কৃতি প্রায় একই এবং দুই দেশের জনগণের পারস্পরিক সম্পর্ক খুবই চমৎকার। নেপালের বিভিন্ন দূর্যোগকালীন সময় বিশেষ করে ২০১৫ সালের ভূমিকম্পে বাংলাদেশ সরকারের সাহায্যের বিষয়টি তিনি উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ নেপালে সার ও চাল রপ্তানি এবং কোভিড-১৯ মেডিসিন পাঠানোর জন্য ধন্যবাদ জানান।
তিনি নেপালের সাথে রেলপথ, সড়ক ও ওয়াটার ওয়েজ কনেকটিভিটি সৃষ্টি এবং বন্দরের সহায়তা গ্রহণের প্রস্তাব দেন। বিশেষ করে কলকাতা বন্দর থেকে বাংলাদেশের বন্দরসমূহ তাদের জন্য ভবিষ্যতে অনেক সুবিধাজনক হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সর্বোপরি তিনি বাংলাদেশের সাথে কৃষি, প্রযুক্তি, পর্যটন, প্রতিরক্ষা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
সভায় চবক চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদ ভবিষ্যতে মাদারবাড়ী পোর্ট ও বে টার্মিনাল নির্মিত হলে নেপালের যে কোন ভলিয়ামের ট্রানজিট কার্গো পরিবহনে সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সব সহযোগিতা প্রদান করা হবে জানান।
তিনি দুই দেশের মধ্যে ‘স্পেশাল ইকোনোমিক জোন (এসইজেড)’ তৈরির মাধ্যমে আমদানি রপ্তানি বৃদ্ধি এবং টুরিজম খাতে বিনিয়োগ ও সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ আঞ্চলিক টুরিজম এক্সপ্লোর করার ব্যাপারে মতামত প্রকাশ করেন।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চবকের সদস্য (অর্থ) মো. কামরুল আমিন, সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর এম নিয়ামুল হাসান, সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, পরিচালক (প্রশাসন) মো. মমিনুর রশিদ, পরিচালক (নিরাপত্তা) লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোস্তফা আরিফ-উর-রহমান খান, পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম, সচিব মো. ওমর ফারুক, চীফ হাইড্রোগ্রাফার কমান্ডার এম আরিফুর রহমান।
সভা শেষে প্রতিনিধিদল চট্টগ্রাম বন্দরে চিটাগাং কন্টেইনার টার্মিনাল (সিসিটি) ও নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) এলাকা পরির্দশন করেন।