নাফিছ পাটোয়ারী,চরফ্যাশন (ভোলা)প্রতিনিধিঃ
চরফ্যাসন পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ডের জনপ্রিয় কাউন্সিলর আকতারুল আলম সামুর জনকল্যাণমূলক কাজে ঈর্শান্বিত হয়ে একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে তার বিরুদ্ধে নানান ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার পৌর এলাকার কলেজ পাড়া সড়কের পাশে অবৈধভাবে (দেয়াল) স্থাপনা নির্মাণকান্ড নিয়ে একই এলাকায় বসবাসরত সাবেক কমিশনার ও তার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর সাথে পৌরসভার রায় বাস্তবায়ন নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
পৌরসভা কর্তৃক সাম্প্রতিক একটি অভিযোগ নিয়ে বুধবার সকালে কাউন্সিলর সামু ঘটনাস্থলে গিয়ে পক্ষ-বিপক্ষদের সুষ্ঠ ফয়সালার জন্য ডাকেন।পৌরসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অভিযুক্ত সাবেক কমিশনার জয়নাল আবেদিন কে অবৈধ স্থাপনা এবং প্রতিবেশিদের স্বাভাবিক চলাচলের রাস্তায় নির্মাণসামগ্রী সরাতে বললে সাবেক কমিশনার জয়নাল তার স্ত্রী সামুকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলে পৌরসভার এই সিদ্ধান্ত আমরা মানিনা।
এসময় সামু পাশের দোকান থেকে হাতুরি দিয়ে নিজ হাতে দেয়াল ভাঙ্গার কাজ শুরু করলে জয়নাল ও তার স্ত্রী মমতাজ সামুর টি-শার্টের কলার ধরে “খুন করে ফেলবো” বলে ঘর থেকে ধারালো বটি নিয়ে আসতে বললে এসময় তিনজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এতে মমতাজ গ্রীলের উপরে পরে মাথার পিছনে আঘাত পায়।
এই ঘটনাকে অপপ্রচার করে কাউন্সিলর সামুকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় জয়নালের পরিবার ও নির্বাচনে পরাজিত শক্তিরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এনিয়ে সামু ও তার বড় ভাইকে অভিযুক্ত করে চরফ্যাসন থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে জয়নাল। চরফ্যাশন থানার ওসি মনির মিয়া বলেন,অভিযোগ পেয়েছি ঘটনার
তদন্ত চলছে।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি মহল তার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের ঘটনায় গতকাল (৩০জুন) রাতে প্রকৃত ঘটনার চিত্র তুলে কাউন্সিলর আকতারুল আলম সামু তার বাসভবনে এক সাংবাদ সম্মেলন করেন।
এসময় তিনি বলেন, জনগন চতুর্থ বারেরমত আমাকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জনগন নির্বাচিত আমাকে করেছেন। আমি তাদের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছি।আমার নেতা জননেতা আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি মহোদয়ের নির্দেশনায় প্রতিনিয়ত নাগরিকদের সার্বিক সেবাদানে কাজ করে যাচ্ছি।নিজের স্বার্থে কখনও চিন্তা করিনা।সবসময় মানুষের কল্যাণে কাজ করি।
পৌরসভায় অভিযোগটি পেলে আমি সবাইকে নিয়ে সামাজিক ফয়সালার তারিখ নির্ধারন করি।সাবেক কমিশনার পৌরসভার দেয়া কোন সিদ্ধান্ত মানেননা। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের চেস্টা করলে তারা স্বামী-স্ত্রী আমার উপরে অতর্কিত হামলা চালায়।আমার গেঞ্জির কলার চেপে ধরে ধারালো বটি দিয়ে আমাকে খুন করার জন্য ধস্তাধস্তি করে। তিনজনের ধস্তাধস্তির সময় ওই নারী গ্রীলের উপরে পড়ে আহত হয়। আমার সাথে নির্বাচনে পরাজিত শক্তিরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করছে। আমি আপনাদের মাধ্যমে এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। আমাকে কেন সোশ্যাল মিডিয়ায় সামাজিকভাবে হেয় করা হল।আমার বিরুদ্ধে চাদাঁদাবি ও মারধরের অভিযোগ করা হয়েছে।আমি সামু কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর যদি কারও কাছে দশ টাকা চাদাঁবাজি করার স্পষ্ট প্রমান দেখাতে পারেন তাহলে স্বেচ্ছায় আমি কাউন্সিলর পদ থেকে পদত্যাগ করার অঙ্গিকার করছি। যারা ন্যাক্কারজনক এই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করছে তাদের বিচারের ভার পৌরবাসির হাতে দিলাম। এই ঘটনায় আমার ব্যক্তিগত কোন স্বার্থ ছিলনা। জীবনে আমি কখনো নিজের স্বার্থের কথা ভাবিনা,সব সময় পৌরবাসিদের সুখ দুঃখে তাদের পাশে দাড়াই।
এদিকে সাবেক কমিশনার জয়নাল মিয়া দাবি করেন তার বাড়ির দেয়াল ভাঙ্গতে সামু হাতুরি নিয়েছে। বাধাঁ দেয়ায় আমার স্ত্রীকে ধাক্কা মারে।এতে মাথায় চোট লাগে। সামু ও তার বড়ো ভাই মীরুর বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি।
চরফ্যাসন থানার ওসি জানান অভিযোগের তদন্ত চলছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের চেস্টা চালাচ্ছে।