চাঁদপুরে বিভক্ত খ্রিস্টান সম্প্রদায় বড়দিন পালন দু'গ্রুপের
চট্টগ্রাম ব্যুরো
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বৃহত ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। আর এই বড়দিন উদযাপনেই বিভক্ত চাঁদপুরের খ্রিস্টানরা। ২০১৯ খ্রিস্টাব্দেও জেলার ব্যাপ্টিষ্ট চার্চে খ্রিস্টান সম্প্রদায় একসাথে বড়দিন পালন করলেও এবার ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে।
চাঁদপুরে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কমিটি ও চার্চের জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তারা দুই গ্রুপে বিভিক্ত । ২০২০ সালের বড়দিন উৎসবটি এবার এক গ্রুপ সোলেমান মন্ডলের নেতৃত্বে জেলা শহরে অবস্থিত ব্যাপ্টিষ্ট চার্চে, আরেক গ্রুপ মনিন্দ্র বর্মনসহ কয়েকজনের নেতৃত্বে শহরের খ্রিস্টান মিশন স্কুলে পালন করতে দেখা গেছে।
দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে বড়দিন উদযাপনে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সাধারণ লোকজনের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। এদিকে চার্চের জমি ও কমিটি নিয়ে বিরোধের কারনে দু'গ্রুপে মধ্যে যেন কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তাই তাদের প্রতি বিশেষ নজরও রেখেছে চাঁদপুরের অাইন শৃঙ্খলা বাহিনী। শহরের মূল ব্যাপ্টিষ্ট চার্চ ও খ্রিস্টান মিশন স্কুল এ দু'টি স্থানে যে কোন অপ্রিতীকর ঘটনা এড়াতে পুলিশের অবস্থান রয়েছে।
এ ব্যাপারে, সোলেমান মন্ডল জানান, একদিকে করোনা অন্যদিকে চার্চের পুকুরের জমি সংক্রান্ত বিষয়ে ঝামেলা থাকায় এবছর বড়দিনের উৎসব পালনে কিছুটা কাটছাট করা হয়েছে। একটি স্বার্থনেসী মহল চার্চের কমিটিকে উপেক্ষা ও মহামান্য অাদালতকে অবমাননা করে মিশন স্কুলে ব্যাপ্টিষ্ট চার্চ ব্যাণার সাঁটিয়ে বড়দিনের উৎসব উৎযাপন করছে। যা দৃষ্টিকটু ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে অপমান করার সামিল।
এ ব্যাপারে খ্রিস্টান মিশন স্কুলে বড়দিন উৎসব উদযাপন প্রসঙ্গে মনিন্দ্র বর্মন জানান, আমাদের প্রতি রবিবার সকালের প্রার্থনা মিশন স্কুলে ও সন্ধ্যার প্রার্থনা চার্চে হয়ে অাসছিল। কিন্ত হঠাৎ সোলেমান মন্ডল কয়েকমাস যাবৎ সন্ধ্যার প্রার্থনা চার্চে করতে বাধা প্রদান করছে। তিনি তার খেয়াল খুশি মত চার্চের দায়িত্ব নিজের হাতের মুঠোয় রেখেই পালন করছে। অামরা যিশু খ্রিস্টের দেওয়া শিক্ষা পালন করছি, তাই অামরা চার্চে বড়দিনের অনুষ্ঠান না করে এবং সকল প্রকার ঝামেলা এড়াতে স্কুলে পালন করছি। সোলেমান মন্ডলের সাথে গুটি কয়েকজন লোক অাছে, অার দেখুন অামাদের সাথে শতশত লোক, কমিটির ১২০ জন অামাদের সাথে রয়েছে। এক গ্রুপ মূল চার্চে অন্য গ্রুপ মিশন স্কুলে বড়দিন উদযাপন করছে।
উল্লেখ্য; খ্রিস্টান মিশন স্কুলের বড়দিন অনুষ্ঠানে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকজনের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেলেও কিন্তু চার্চে লোকজনের সমাগম তেমনটা দেখি যায়নি