হাকিকুল ইসলাম খোকন ,সিনিয়র প্রতিনিধ:
১২৪ জন যাত্রীকে সম্পুর্ন নিরাপদে বাঁচানোর দুঃসাহসী পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদের প্রতি অতল শ্রদ্ধা এবং আল্লাহ যেন বেহেস্তের সর্বোচ্চ স্হানে সমাদৃত করে আমাদের প্রার্থনা।
চিরবিদায় নিলেন মধ্য আকাশে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হওয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম। রবিবার ভারতের নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে তার লাশ দেশে আনা হবে।
গত শুক্রবার (২৬ আগস্ট) সকালে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের ১২৪ জন যাত্রী নিয়ে ওমানের মাসকাট থেকে ঢাকার পথে উড়ন্ত বিমানে মধ্য আকাশে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম।একই সময় তিনি কো-পাইলটের কাছে বিমানটির নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন। কলকাতা এয়ার পোর্টে পরামর্শে নিকটবর্তী ভারতের নাগপুরে জরুরি অবতরণের পর তাকে সেখানকার কিংসওয়ে হাসপাতালে নেওয়া হয়।শারীরিক অবস্থার সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) নেওয়া হয়।
সর্বশেষ হাসপাতালের মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন , ক্যাপ্টেন নওশাদের অবস্থা গুরুতর... তিনি সম্পূর্ণ ভেন্টিলেশনের সহায়তায় বেঁচে আছেন... তার মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে... তিনি কোমায় আছেন।
এদিকে শুক্রবারই আরেকটি ফ্লাইটে করে আট সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল নাগপুরে যায়। মধ্যরাতের পর বিমানটিকে যাত্রীসহ ঢাকার বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়।