মোঃ সুমন ইসলাম ডোমার( নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ সারা দেশে যখন মাদ্রাসার ছাত্রদের নির্যাতনের ঘটনা বিভিন্ন সংবাদ পত্রে
প্রকাশিত হচ্ছে। এবং অনেক নির্যাতনকারীরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাচ্ছে। অথচ ৩ মাদ্রাসার ছাত্রদের মারপিরকারী বিভিন্ন ভাবে ঘটনাটি ধামাচাপা দিয়ে অসল ঘটনাটি লুকানোর চেষ্টায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। যেন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা।
জানা গেছে, নীলফামারী জেলার চিলাহাটি'র ইয়ার উদ্দিন শিশু সদন এতিমখানায় ঝাড়ু ও বাজার থেকে ফিরে আসতে সময় লাগায় কমিটির সদস্য নমিরুল ইসলামের প্রহরে তিন এতিম
ছাত্র আহত হয়েছে। স্থানীয়রা গুরুত্বর আহত অবস্থায় এতিমখানার নবম শ্রেণীর
ছাত্র নাইমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন। অপর দুই
এতিম অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র আরমান আলী নিশান ও ৫ম শ্রেনীর ছাত্র হাচান
আলীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে এতিমখানায় রেখেছে।
নির্যাতনের স্বীকার আরমান বলেন, মাদ্রাসায় ঝাড়ু দেওয়া নিয়ে নমিরুল
আমাকে মারধর করে। এ সময় হাচান বাজার থেকে ফিরে আসলে তাকেও নমিরুল চাচা
মারে। নাইম ভাই দৌড়ে এসে প্রতিবাদ করলে চাচার মারপিটে সে মাটিতে পড়ে যায়।
এতিমখানার ছাত্রদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে নাইম
ভাইকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ইয়ার উদ্দিন শিশু সদন এতিমখানার ম্যনেজিং
কমিটির সদস্য নমিরুল ইসলাম বলেন, আমাকে হেও করার জন্য মিথ্যা অপপ্রচার
চালানো হচ্ছে। এতিমখানার ছাত্ররা বলেন, প্রায় সময় নমিরুল
চাচার সারের দোকানে চা দেওয়া, দোকান পরিস্কার করা, তার বাড়িতে বাজার খরচ
দিয়ে আসা নিয়ে তিনি মারপিট করে থাকেন। এদিকে ঘটনাটি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও আনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত হলেও এ দিকে কর্তৃপক্ষের কোন নজর নেই।
মোঃ সুমন ইসলাম ডোমার নীলফামারী প্রতিনিধি। /০৩/০৩/২০২১ ইং মোবাইল নম্বর ০১৭৮০৫৫১৬১৭ /