মোঃ সুমন ইসলাম প্রামানিক ডোমার নীলফামারী প্রতিনিধি/
নীলফামারীর ডোমারে ২০২০ সালের ১৭ই ডিসেম্বর চিলাহাটি রেলষ্টেশন থেকে ভারতীয় কয়েকটি মালবাহী খালি ওয়াগান নিয়ে বাংলাদেশের একটি পাওয়ার ইঞ্জিন ভারতের হলদিবাড়ী রেলষ্টেশনের অভিমুখে প্রথম যাত্রা শুরু করেছিল। সেই থেকে অদ্যবধি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কোন রেলযাত্রা শুরু হয়নি। দীর্ঘ ৭ মাস পর ডোমারের চিলাহাটি রেলষ্টেশন ট্রাইলে আসে ভারতীয় ২টি পাওয়ার ইঞ্জিন।হস্পতিবার (২৯ জুলাই) সকাল ১১.১৫ মিনিটে ভারতীয় হলদিবাড়ি রেলষ্টেশন থেকে ২টি পাওয়ার ইঞ্জিন ৪০৪০৩/৪০৪০৪ ডাবলু ডিপিফরডি, ১২ জন রেলওয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে বাংলাদেশের চিলাহাটি রেলষ্টেশনের উদ্দেশ্যে ট্রাইলের জন্য রওয়ানা দিয়ে ১২.৩৫ মিনিটে চিলাহাটি রেলষ্টেশনে এসে পৌছায়। এ সময় তাদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানায় চিলাহাটি রেলষ্টেশনের ষ্টেশন মাষ্টার আশরাফুল ইসলাম, পি ডাবলুর সুলতান মৃর্ধা,
এসময় ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান, চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ নুরুল ইসলাম, চিলাহাটি বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার খোদাবকস, সিআই পার্বতীপুর রফিকুল ইসলাম, সৈয়দপুর জিআরপি থানার এসআই শাহাজাহান, চিলাহাটি আরএনবি ইউনিটের হাবিলদার সেলিম হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ট্রাইলে আসা ভারতীয় রেল কর্মকর্তা এসআর গুডস,্ গার্ড নির্মল গোরামি, নরদ পোদ্দার, বিনোদ কুমার, মুকেশ কুমার সিং, এলপি বিবেকানন্দ চৌধুরী, মনোজিৎ পাল চৌধুরী, রাবিশ পাটেল, রাকেশ কুমার, এএলপি অরিজিৎ রায়, ঋতু রাজ, অর্ক দাস ও গৌরভ কুমার। প্রথমে তারা রেলষ্টেশনের ওয়েটিং রুমে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর ভারতীয় রেল কর্মকর্তাদের নিয়ে চিলাহাটি রেলষ্টেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় ভারতীয় এলপি বিবেকানন্দ চৌধুরী সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আগামী ১লা আগস্ট থেকে এই পথ দিয়ে ভারত থেকে বিভিন্ন মালামাল নিয়ে ভারতীয় মালবাহী ওয়াগান যাতায়াত করবে এবং সেই কারনেই আজকের এই ট্রাইল। চিলাহাটি ষ্টেশনের রেলের কাজ দেখে তিনি বলেন আগামীতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপুর্ন সম্পর্ক আরও জোড়দার হবে। পরিশেষে চা চক্রের মধ্যদিয়ে দুই দেশের আলোচনার সমাপ্তি ঘটে। চা চক্র শেষ করে তারা এমিগ্রেশন ও পাসপোর্টের কাজ শেষে দুপুর ১.৫৫ মিনিটে ভারতীয় পাওয়ার ইঞ্জিনে চড়ে হলদিবাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।