মোঃ-আলমগীর হোসেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি,,চুয়াডাঙ্গা সদর থানা এলাকাসহ এলাকার বাইরে বিভিন্ন স্থান থেকে হারিয়ে যাওয়া, চুরি হওয়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল সংক্রান্তে এবং বিকাশ থেকে টাকা চুরি হওয়া সংক্রান্তে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন সময়ে জিডি করে। এসব জিডির বিষয়ে ভুক্তভোগীদের অবস্থা বিবেচনায় চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম এর নির্দেশনার আলোকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান এর সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় কর্মরত চৌকস অফিসার, এসআই শামীম হাসান কে দায়িত্ব দেন। এসআই শামীম হাসান এসব চুরি ও হারিয়ে যাওয়া জিডি তদন্তকালে সর্বমোট ১০ (দশটি) মোবাইল উদ্ধারসহ বিকাশ থেকে মিসিং হওয়া নগদ ১৬০০০/= টাকা উদ্ধার করেন। বৃহস্পতিবার ১২ নভেম্বর
সকাল সাড়ে ১১ টার সময় প্রকৃত মালিকের নিকট উদ্ধারকৃত মোবাইল এবং নগদ টাকা হস্তান্তর করেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান।
উল্লেখ্য যে, উদ্ধারকৃত মোবাইলের মধ্যে একটি হারিয়ে যাওয়া মোবাইল সংক্রান্তে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। হারিয়ে যাওয়ার পর এই মোবাইলটি যার হস্তগত হয়েছিল সে সহ তার সহযোগীরা সাধারণ মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাদেরকে জিম্মি করে ব্যাপক চাঁদাবাজি শুরু করে। ইতিমধ্যে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। সুতরাং মোবাইল হারিয়ে যাওয়া নিছক কোন খেলার বিষয় নয়। আপনার হারিয়ে যাওয়া মোবাইল এবং সিম অপরাধীরা ব্যবহার করে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটালে তার দায়দায়িত্ব কিছুটা আপনাকেও বহন করতে হবে যদি না আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এই মোবাইলটির মালিক বিগত তিন মাস পূর্বে মেহেরপুর সদর থানায় তার হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জিডি ভূক্ত করেছিল। বিধায় তিনি এ যাত্রায় হয়রানির হাত থেকে বেঁচে যান। সকলকে এ বিষয়ে সচেতন ও সতর্ক হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হল। নিম্নে সে সকল সৌভাগ্যবানদের তালিকা দেয়া হলো যাদের মোবাইল এবং টাকা হারিয়ে গিয়েছিল এবং আবার তা ফিরে পেলঃ
বিকাশঃ মোঃ এরশাদ, ১৬০০০/- টাকা।
১.রাজিব রায়হান- ওয়ান প্লাস ৭প্রো।২.খাজা উদ্দীন- ওপ্পো,৩.দোস্ত মোহাম্মদ- স্যামসাং,
৪. মোঃ রাফিদ - ওপ্পো,৫.সুজন আহমেদ -রেডমি,৬.তৌহিদুল ইসলাম - রেডমি,৭.টিপু সুলতান- রেডমি,৮. মোঃ জাকির- স্যামসাং
৯. মশিম উদ্দিন- স্যামসাং, ১০. মোঃ মিরাজ- হুয়াওয়েই।