মোঃ-আলমগীর হোসেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি,,,চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলাম এর দিকনির্দেশনায়, চুয়াডাঙ্গা জেলাকে মাদক নির্মূল করার লক্ষে চুয়াডাঙ্গার সকল থানার অফিসার ইনচার্জ এর নেতৃত্ব পুলিশি তৎপরতার ফলে মাদক ব্যবসায়ীরা সেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করা শুরু করেছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একের পর এক মাদকবিরোধী অভিযানের প্রেক্ষিতে আজ রবিবার ৮ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১১ টার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম এর নিকট নারী সহ চারজন মাদক ব্যাবসায়ি সেচ্ছায় হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং মাদক ব্যাবসা না করার অঙ্গীকার করে। মাদক ব্যাবসায়িরা হলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দলকা- লক্ষীপুর গ্রামের মোঃ জমির আলীর ছেলে মোঃ জহুরুল (সুন্নত আলী)(৩৮), মোঃ বানাত আলীর ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম(৫০),মৃত মইজ উদ্দিনর ছেলে তুতা ফকির(৫৫), মোঃ ইব্রাহিম আলীর স্ত্রী মোছাঃ রহিমা আক্তার (ডলি)(৩২),
আত্মসর্মপনকারী মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম এর নিকট হাজির হয়ে অঙ্গীকার করে যে, তাদের ছেলে মেয়েরা বড় হয়ে বুঝতে শিখেছে মাদক ব্যবসা করা ঠিক না। এতদিন তারা ভুল পথে ছিলেন। ভবিষ্যতে কখনও মাদক ব্যবসার সহিত জড়িত হবেন না। সমাজের সকল লোক তাদের ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখে। ফলে ছেলে-মেয়েদের কথা এবং বর্তমান মাদক বিরোধী অভিযানের তৎপরতা অনুধাবন করে মাদক ব্যবসায়ীরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আশার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এরই অংশ হিসেবে বর্ণিত মাদক ব্যবসায়ীদের পরিবার চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলাম এর নিকট আত্মসর্মপনের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। মানবিক পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম তাদের আহবানে সাড়া দিয়ে পরিবারসহ তাঁর অফিসে হাজির হওয়ার জন্য পরামর্শ দেন।
আজ রবিবার সকালে চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলামের নিকট হাজির হয়ে তারা আর কখনো মাদকের সাথে জড়িত না হওয়ার প্রতিজ্ঞা পূর্বক দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে পরিবার গুলো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আশার সুযোগ পেল। ফলে পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলাম সকল মাদক ব্যবসায়ীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আশার আহবান জানান।
এ সময়ে পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলাম কঠোর হুশিয়ারী উল্লেখ করে বলেন, মাদক একটি ভয়ানক নেশা, উঠতি বয়সের স্কুল, কলেজ পড়–য়া ছাত্র, ব্যবসায়ী, চাকরীজীবি, দিনমজুর সহ সমাজের সকল স্থরের মানুষকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। মাদক ব্যবসায়ী যত শক্তিশালীই হোক না কেন, তাদেরকে দেশ ছাড়তে হবে, নাহলে ব্যবসা ছাড়তে হবে। যে সকল মাদক ব্যবসায়ী ইতোমধ্যে আত্মসর্মপন করেছেন তাদেরকে নিরীক্ষণে রাখা হয়েছে। কোন আত্মসর্মনকারী মাদক ব্যবসায়ী পুনরায় মাদক ব্যবসায় জড়িত হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।