চেয়ারম্যান নয় সেবক হতে চাই – চেয়ারম্যান প্রার্থী মহাবুবুর রহমান (রন্জু)।
রিয়াজ উদ্দীন।
বিষেশ প্রতিনিধি।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দূর্নীতিমুক্ত,পরিচ্ছন্ন, নাগরিক দূর্ভোগ মুক্ত, আধুনিক ও মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলতে কালীগঞ্জ উপজেলার ৯নং বারবাজার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মহাবুবুর রহমান (রন্জু)। ইতোমধ্যে তিনি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্তরের মানুষের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন, তাদের চাওয়া-পাওয়া এবং জনদূর্ভোগ-দূর্দশার কথা শুনছেন। একান্ত আলাপকালে তিনি এ প্রতিবেদককে মোঃ —— তার বিভিন্ন পরিকল্পনা ইউনিয়নবাসীর উদ্দেশ্য তুলে ধরে বলেন, আমি এই ইউনিয়নের সন্তান। পারিবারিক ও সামাজিক ভাবেই সবার কাছে পরিচিত। এই ইউনিয়নকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যে একটি আধুনিক ও মডেল ইউনিয়ন রুপান্তরিত করতে ইউনিয়নবাসীর সেবক হতে চাই। রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, সেনিটেশন, কবরস্থান, জরুরি এ্যাম্বুলেন্স সেবা,রোড লাইটসহ নানা উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতামূলক কার্যক্রম চালু করবো।
বর্তমানে ইউনিয়নের স্থানীয় জনগণ অনেক ক্ষেত্রে তাদের নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত ও অবহেলিত। তাদের জনদুর্ভোগ-দুর্দশা আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে। তাই পুরাতন রাস্তা মেরামত, নতুন রাস্তা তৈরি ও রাস্তা প্রশস্ত করে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে নাগরিকদের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করবো। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যেমন মসজিদ, মন্দির, কবরস্থান ও শ্মশান ঘাটের উন্নয়ন, সন্ত্রাস, চোরাচালান ও মাদকমুক্ত রাখা, বয়স্ক ভাতা,বিধবা,প্রতিবন্ধীভাতা প্রদান,শিক্ষার অধিকার যাতে ইউনিয়নবাসীর দোরগোড়ায় পৌঁছে তা নিশ্চিত করতে চাই।
তিনি আরো বলেন, আমি ৯নং বারবাজার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছি, মানবসেবাকে ইবাদত হিসেবে মনে করি। বিগতো মহামারি করোনাকালীন সময়েও দিন-রাত নিজস্ব তহবিল থেকে খাদ্যসামগ্রী ও বিভিন্ন উপকরণ পৌঁছে দিয়েছি ওয়ার্ডে প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি সরকারি অনুদান প্রদান করেছি। আমি স্বচ্ছতার সঙ্গে ইউনিয়নবাসীর জন্য কাজ করতে চাই। তাদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে আমি বদ্ধ পরিকর।
সাবেক চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করার পরেও কেন আবার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হতে চাচ্ছেন এই জবাবে প্রতিবেককে তিনি বলেন, আমি বিগত ৫ বছর বিভিন্ন স্তরের মানুষের কাছে যাওয়ার এবং তাদের সেবা করার সুযোগ হয়েছে। অন্যান্য ওয়ার্ডের মানুষের সাথে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে এবং তারাও চায় আমি বড় পরিসরে সেবা করি।সবার দাবির প্রতি সম্মান দেখিয়ে আমি চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করছি। আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তি হিসেবে নৌকা প্রতীক পেতে তিনি কতটুকু আশাবাদী এমন প্রশ্নে বলেন, আমি ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামীলীগ রাজনীতি শুরু করেছি, ইউনিয়ন থেকে পরবর্তীতে উপজেলা যুবলীগের একজন কর্মী হিসেবে মাঠে ঘাটে কাজ করেছি। নেতৃবৃন্দ আমার কাজের মূল্যায়ন করে কালীগঞ্জ উপজেলার ৯নং বারবাজারের দায়িত্ব দেন। সেই দায়িত্ব যথাসাধ্য পালন করেছি উপজেলা, ইউনিয়ন ও বিভিন্ন ইউনিট কমিটি গঠন করেছি। আমি বিভিন্ন সময় বারবার মিথ্যা হয়রানি মামলার শিকার হয়েছি। আমি নির্যাতিত কর্মী ও আওয়ামীলীগের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে নেতৃবৃন্দ আমাকে নৌকা প্রতীক দিবেন বলে আমার বিশ্বাস। পরিশেষে আমি ৯নং বারবাজার ইউনিয়নের সকল মানুষের দোয়া-আর্শীবাদ ও সমর্থন চাই।
Leave a Reply