মোংলা প্রতিনিধি
মোংলায় মিঠাখালী ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক উৎপল কুমার মন্ডলের দুর্নীতি, অনিয়মের বিচার ও অপসারণের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন এবং সমাবেশ করেছেন ওই ইউনিয়নেরই সহস্রাধিক নারী-পুরুষ। রবিবার বেলা সোয়া ১১টায় 'মিঠাখালী ইউনিয়ন বাসী' ব্যানারে ঠোটারডাঙ্গা এলাকায় এ কর্মসূচী পালন করেন ভুক্তভোগীরা। চেয়ারম্যান উৎপল কুমার মন্ডলের বিরুদ্ধে মিঠাখালী ইউনিয়ন বাসীর আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ বিক্ষাভ, মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মিঠাখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ ইস্রাফিল হাওলাদার, মিঠাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রীতিষ চন্দ্র হালদার, ইউনিয়নটির ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর শেখ, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি মেম্বর আরিফ হোসেন, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি মেম্বর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আশিষ কুমার এবং ভুক্তভোগী নারী অনিতা মিস্ত্রীসহ অন্যান্যরা।
এ সময় বক্তারা বলেন, এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর চেয়ারম্যান উৎপল কুমার মন্ডলের নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে উপজেলা পরিষদের সামনে বিক্ষাভ প্রদর্শন ও মানববন্ধন করেন মিঠাখালী ইউনিয়নের ভুক্তভোগী নারী-পুরুষেরা। তখন চেয়ারম্যান উৎপল কুমার মন্ডলের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই সকল অভিযোগের তদন্ত আলোর মুখ দেখছেনা বলেও অভিযোগ করেন তারা। বক্তারা আরো বলেন, পূর্বের ওএমএস কার্ডধারী অসহায়, দুস্থ পরিবারের নাম কেটে চেয়ারম্যান উৎপল তার পছন্দের লোকজন ও নিজ পরিবারসহ আত্মীয়স্বজনদের সেই কার্ড দিয়েছেন। এছাড়াও চেয়ারম্যান উৎপল ভিজিডির সিদ্ধ চাল উত্তোলন করে তা কালো বাজারে বিক্রি করে আর্থিক সুবিধা নিয়ে কম দামের খাবার অনুপযোগী আতপ চাল দিয়েছেন ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের। অপরদিকে সরকারীভাবে বরাদ্দ বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতির কথা তুলে ধরেন বক্তারা। বক্তারা আরো বলেন, উৎপল কুমার মন্ডল চেয়ারম্যান হওয়ার পর তার আত্মীয়স্বজনেরা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার রাস্তার পাশের সরকারী গাছ কেটে নিয়ে গিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া কাবিখা প্রকল্প দিয়ে তার নিজ বাড়ীতে মাটির কাজ করিয়েছেন। এ কাজের তদারকিকারী ট্যাগ অফিসার উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোঃ সোহান আহমেদকেও চেয়ারম্যানের আপন ভাই লাঞ্চিত করেন। চেয়ারম্যান ও তার ভাইর বিরুদ্ধে এসব অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত রয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে। অজ্ঞাত কারণে সে তদন্ত আলোর মুখ দেখছেনা বলেও অভিযোগ করেন বক্তারা।