সৌরভ মজুমদার ,ছাগলনাইয়া প্রতিনিধি :-
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় পালক পিতার যৌন নিপিড়ন এর হাত থেকে বাঁচতে থানায় মামলা করলো ১৬ বছরের এক মেয়ে ।মেয়েটি ছাগলনাইয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী।ঘটনাটি ঘটে ছাগলনাইয়া পৌরসভাধীন পূর্ব ছাগলনাইয়া গ্রামে ।পালিত পিতার নাম মোহাম্মদ হোসেন (৫০)।মেয়েটি থানায় এসে তার বাবার বিরুদ্ধে যৌন ক্ষুধার লালসার শিকার দাবী করে পিতার লোমহর্ষক ঘটনার কথা থানা পুলিশের কাছে জানান ।
জনাযায় , মেয়েটি ছাগলনাইয়া তার পালক পিতার বিরুদ্ধে থানায় মামলায় দায়ের করেন ,মামলায় বিবরনে জানান ,তার পিতা যৌন ক্ষুধা মেটাতে না পেরে আমাকে বাড়িতে জিম্মি করে একটি কক্ষে বন্দি করে রাখে প্রতিদিন নির্যাতন চালায় ।দিনের পর দিন উপোস রাখে, এক পর্যায়ে ক্ষুধার জ্বালায় কোন উপায় না দেখে ছাগলনাইয়া থানায় ফোন করে। থানায় ফোন পেয়ে কতর্ব্যরত পুলিশ মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে অভুক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে ।
এ ঘটনার এলাকার মানুষেরা জানান ,মেয়েটির বয়স যখন দুই বছর তখন তাকে দত্তক আনেন ওই পিতা ও মা।তার পালিত পিতা তার স্ত্রীকে সন্তান না হবার অযুহাতে কিছুদিন আগে তালাক দিয়ে দেন ।তার ঘৃণ্য যৌন লালসা চাহিদা মিটাতে দত্তক মেয়েটিকে জোরপূর্বক যৌন হয়রানির শুরু করে। একপর্যায়ে হীনস্বার্থ চরিতার্থ করতে না পেরে মেয়েটি কে গৃহবন্দি রাখে । এসময় তাকে কোন খাওয়া-দাওয়া করতে দেয়নি ।পিতা জোরপূর্বক বন্দি করে যৌন সম্পর্ক করার ব্যর্থ চেষ্টা চালায়।মেয়েটি কে ধর্ষণ করতে না পেরে তার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। এর পরে তাকে একটি রুমের মধ্যে আটকে রাখা হয়।যৌন নির্যাতনের শিকার মেয়েটি কোন উপায় না দেখে ছাগলনাইয়া থানায় ফোন দিয়ে রক্ষা পায়।
ছাগলনাইয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম জানান,ছাগলনাইয়া থানার এসআই নোমান পৌরসভাধীন পূর্ব ছাগলনাইয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে মেয়েটিকে ও পালিত পিতা কে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন ।ক্ষুধার্ত মেয়েটি কে তিনি তার বাসা থেকে পাঠানো রাতের খাবার মেয়েটি কে খাওয়ান ।যৌন অভিযোগকারী উদ্ধারকৃত ভিকটিম মেয়েটির জবানবন্দি রেকর্ড করে থানায় মামলা রুজু করে পরবর্তী মামলার বাদী কিশোরী সহ আসামীকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ভিকটিম মেয়েটির পরবর্তী আবাসস্থল বিজ্ঞ আদালত নির্ধারণ করবেন বলে জানিয়েছেন ।