নিজস্ব প্রতিবেদক //
বরিশাল সদর উপজেলার বন্দর থানার আওতাধীন ৯ নং টুংগীবাড়ীয়া ইউনিয়নের নেহালগঞ্জের ফেরি ও খেয়াঘাটে চাঁদা-বাজি ও ফেরির স্টাফকে ডেকে নিয়ে রাতের আঁধারে মারধরের ভিডিও সহ অভিযোগের ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সাংবাদিক সহ বেশ-কয়েকজন সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে, ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে।
বরিশাল বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে মোঃ মাসুদ ফকির (৪৫) জুয়েল বেপারী (২৮) বেল্লাল বেপারী রফেজ বেপারী (৪৫)
ইমরান (৩০) রাসেল হাওলাদার (২৮) ফিরোজ (৪০) সহ ৭ জনকে আসামী করে এ মামলা করেন ছাত্রলীগ কর্মী শিপন আকন (৩৪)।
মামলার বিবরনে দেওয়া হয় তরমুজ ও মাছ ব্যাবসায়ী শিপন স্থানীয় নেহালগঞ্জ ফেরিঘাটে, তরমুজ লোড ও আনলোড করে থাকে।
মামলার আসামী’রা শিপনের কাছে (এক লক্ষ্য) টাকা চাঁদা দাবী করে এবং ধমকে তার কাছে থেকে (ত্রীশ হাজার) টাকা নেয়। পরবর্তীতে আসামীগন আরও (সত্তর হাজার) টাকা দাবী করে হুমকি দিতে থাকে।
অতঃপর ঘটনার দিন ১৯/০৫/২০৫ তারিখ আনুমানিক রাত ৯.০০ ঘটিকার সময় শিপন ব্যবসার কাজ সম্পূর্ণ করে বাড়ি যাবার পথে ট্রলারে উঠলে বেধড়ক মারধর করে আসামী’রা।
কিন্তু এসব বিষয়ে নেহালগঞ্জের স্থানীয়’রা বলেন, এই মামলা ভিত্তিহীন যার কোন সত্যতার মিল নেই।
তারা আরো বলেন, শিপন ফেরিঘাট ও খেয়াঘাটে প্রতিনিয়ত চাঁদা-বাজি করে চাঁদা টাকা না দিলে শিপন খেয়াঘাটের কর্মচারীদের মারধর করে এবং
বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেয়।
ঘটনার দিন শিপন খেয়াঘাটে চাঁদা তোলার জন্য যায় তাকে চাঁদা না দেওয়ায় খেয়ার এক স্টফকে শিপন বেধড়ক মারধর করে এ সময় এলাকার জনসাধারণ শিপনকে বাঁধা দিলে তাদের উপরও তিনি ক্ষিপ্ত হন পরে এলাকার জনসাধারণ মিলে শিপনকে গণধোলাই দিলে তিনি ঘটনা স্থান থেকে পালিয়ে যায়।
এরপরে ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে, সাধারণ মানুষকে
হয়রানি করার জন্য এই মামলা ধায়ের করে শিপন।
অভিযোগ উঠেছে, এর আগেও শিপনের নামে ধর্ষণ ডাকাতি চাঁদা-বাজি সহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।
মিথ্যা মামলার ভুক্তভোগী রাসেল হাওলাদার বলেন, ঘটনার ২ দিন পরে এ বিষয়ে আমি জানতে পারি কিন্তু হঠাৎ করে সুনতে পাই আমি মামলার আসামী
যা কল্পনাও করতে পারি নাই এমনকি ঘটনার দিন আমি ফেরিঘাট ও যা-ই নাই।
অভিযোগ উঠেছে, মামলায় যাদের সাক্ষী হিসেবে দিয়েছে তাদের মধ্যে অধিকাংশই ঢাকায় থাকেন মুঠোফোনের মাধ্যমে জানতে চাইলে তারা বলেন, কিসের সাক্ষী এ সম্পর্কে আমরা তো কিছুই জানিনা।
অপরাধীকে ৩ নাম্বার সাক্ষী খোরশেদ তালুকদার বলেন, ঘটনা সুনেছি শিপন চাঁদা-বাজি করার সময় জনসাধারণ তাকে ধরে গণধোলাই দিয়েছে কিন্তু সে যে মামলা দিছে বা তার মামলার সাক্ষী হিসেবে আমাকে রেখেছে এতে আমি কিছুটা অবাক হয়ে পরি।
তিনি আরো বলেন, শিপন দীর্ঘদিন যাবত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে তার প্রভাব বিস্তার করে পুরো এলাকা জুড়ে মাদক ব্যবসা করে তার বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারে না। তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা।
এসব অভিযোগের বিষয়ে শিপনের মুঠোফোন কল করলে, তার ব্যবহৃত নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।
এবিষয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ বলেন, বিজ্ঞ আদালতের কাছে দাবি থাকবে যেন সাধারণ মানুষ এই মিথ্যা মামলা থেকে নিঃশর্ত মুক্তি পায়।
Leave a Reply