মোংলা প্রতিনিধি:
খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, আমার লোকজন কি শুধু মারই খাবেন, প্রশাসনের কাছে আমি জিজ্ঞেস করতে চাই। যদি এলাকায় শান্তি না থাকে তাহলে প্রশাসন থাকার কোন যৌক্তিকতা নেই। আমার লোকজন যেন আর কোথাও অপমান ও মার না খায়। এখানে প্রশাসনে যারা আছেন ন্যায়-অন্যায় মাথায় রেখে কাজ করবেন। আপনাদের কতিপয় এসআই রয়েছেন যারা টাকা পয়সা খেয়ে বিভিন্ন তাল তামশা করছেন। আমি তিনবার খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছি প্রশাসনের দয়ায় নয়, জনগণের ভোটে। আর মোংলা-রামপালে (বাগেরহাট-০৩) আমি ৪ বার ও আমার সহধর্মিণী ৪ বার এমপি নির্বাচিত হয়েছি তাও জনগণের ভোটে। সুতরাং খালেক তালুকদারকে চিনেন। আমি সব সময় প্রশাসনকে বলে আসছি আমাদের পক্ষে নয়, নিরপেক্ষ থাকবেন, আমাদের পক্ষে জনগণ। নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিপক্ষের এতো অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে ও নানা বার্তার (কারো কারো নাম ভাঙ্গিয়ে অদৃশ্য ক্ষমতার ভয়ভীতি) মোকাবেলা করে শান্তির পক্ষে নৌকায় এখানকার জনগণ ভোট দিয়েছেন।
আমি প্রশাসনকে আরো বলতে চাই, বিগত ২৫-৩০বছরে মোংলা বন্দরে তেল ও সার চুরি, বিদেশী জাহাজে ডাকাতি হয়নি, এসব বন্ধ করেন তা না হলে আমি সাংবাদিক সম্মেলন করবো এবং রাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমে এ অন্যায় অত্যাচার বন্ধ করবো। তিনি আরো বলেন, মোংলা বন্দরে জাহাজ চোরাকারবারি, ভূমিদস্যুতা, মাদককারবারী ও বাজার সিন্ডিকেট থাকবেনা, আমি প্রশাসনকে বলবো এসব বন্ধ করেন। পুলিশ-প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে শনিবার দুপুরে মোংলা বন্দর শ্রমিক-কর্মচারী সংঘ চত্বরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনোত্তর স্থানীয় আওয়ামী লীগের আয়োজিত এক কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। মুলত নির্বাচন পূর্ব ও পরবর্তীতে নৌকা প্রতীকের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিপক্ষ ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর কর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালিয়ে নৌকার কর্মীদের কুপিয়ে এবং পিটিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করেন। সে সকল ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হলে পুলিশ এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই নেননি। তাই এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে বিষোদগার ও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন কেসিসি মেয়র। এছাড়া নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে ৪র্থবারের মত তার সহধর্মিণী হাবিবুন নাহারকে সাংসদ নির্বাচিত করায় সমাবেশে উপস্থিত দলের সকল নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, আমি ৩২বছর ধরি আপনাদের সাথে আছি, আমার মৃত্যুর আগ মুহুর্ত পর্যন্ত আপনাদের পাশেই থাকবো। এ কথা আগেও বলে আসছি, আজও আবার বলে গেলাম। কারণ আমার রক্ত দিয়েও আমি মোংলা-রামপালের মানুষের ঋণ শোধ করতে পারবোনা। কারণ আপনারা ভোট দিয়ে আমাকে ৪বার এবং হাবিবুন নাহারকেও ৪বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছেন। মোংলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক মোল্লা আঃ রউফ, দপ্তর সম্পাদক অম্বরিশ রায়, মোংলা উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আঃ রহমান, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান শেখ আব্দুস সালাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান জসিম, ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আগবর হোসেন, মোল্লা মো: তারিকুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদ হাছান ছোটমনি, শেখ কবির উদ্দিন, আ'লীগের কোষাধ্যক্ষ নাছির হাওলাদার, যুবলীগ সভাপতি ইস্রাফিল হাওলাদার, ইউনিয়ন আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: জাহাঙ্গীর হাওলাদার,
সহ অন্যান্যরা। এ সমাবেশে স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দসহ বিপুলসংখ্যক কর্মী-সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন।