শেখ খায়রুল ইসলাম পাইকগাছা খুলনা প্রতিনিধি :-
নির্যাতনের বিভীষিকা মূছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী নাম তার জয়িতা কৃষ্ণা রানী চক্রবর্তী। স্বামী কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হয়ে এখন পিত্রালয়ে। ছেলে সন্তান নিয়ে অদম্য এগিয়ে চলা কৃষ্ণা রানী, পিত্রালয় এসে সংগীত চর্চা , বিউটি পার্লার ও আনসার ভিডিপির সাথে যুক্ত হয়ে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের একটি প্রকল্পে পাইকগাছায় সংগীত প্রশিক্ষক হিসাবে কাজ করছেন তিনি।কৃষ্ণা রানী চক্রবর্তীর পিতা দেবপ্রসাদ চক্রবর্তী পাইকগাছা পৌরসভার ৫নংওয়ার্ডে সরল গ্রামের বাসিন্দা।তারা দুই বোন,এক ভাই।২০০৫ সালে খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপু্র গ্রামে বিয়ে হয়। সেই থেকে স্বামীর নির্যাতনে স্বীকার। তাদের ঘরে একটি ফুটফুটে পুত্র সন্তান আসে।রুপমা চক্রবর্তী (১২)। স্বামীর নির্যাতনে স্বীকার হয়ে পিত্রালয়ে১০১৮সালে চলে আসতে বাধ্য হয়।পিত্রালয় এসে কৃষ্ণারানী বসে থাকেনি, তিনি তার ছোট পুত্র সন্তান নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন আনসার ভিডিপি সদস্য হয়ে বিভিন্ন দূর্যোগ মোকাবেলায়,এরপর মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এর সহযোগীতায় বিউটি পার্লার ও সংগীত চর্চায়। বর্তমানে পাইকগাছা উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর একটি প্রকল্পে সংগীত শিল্পী প্রশিক্ষক। তিনি বাড়ীতে সংগীত শিল্পী প্রশিক্ষক ও বিউটি পার্লারের কাজ করে যাচ্ছেন।যে কারণে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ৯/১২/২১ তারিখে কৃষ্ণা রানী চক্রবর্তীকে নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু মর্মে জয়িতা পুরস্কার ও সনদ দিয়েছেন।কৃষ্ণা রানী চক্রবর্তী জানান,আজ আমি জীবন যুদ্ধে নেমেছি,আমি আমার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যে পোছাতে পারবো বলে আশাবাদী। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান,কৃষ্ণা রানী চক্রবর্তী স্বামী কর্তৃক নির্যাতনের স্বীকার হয়ে যে ভাবে কাজ করে চলেছে তার শুধুমাত্র মুল্যায়ন করেছি মাত্র। উপজেলা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষক আলতাফ হোসেন বলেন তার এ অদম্য চলা আনসার ও ভিডিপি তার সাথে আছে।