সিলেট ব্যুরো

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সীমান্ত জনপদ পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম সীমান্ত এলাকায় বিজিবির টহল দলের উপর চোরাকারবারিরা হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে। বুধবার (৩ নভেম্বর) ভোর ৬ টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একই পরিবারের তিন সদস্য সহ ৪জনকে উল্লেখ্য করে এবং অজ্ঞাত আরও ২৫,/৩০, জনের বিরুদ্ধে। গোয়াইনঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ভোর রাতে ভারত থেকে অবৈধ পথে চোরাকারবারিরা ভারতীয় মাদক নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করার। গোপন সংবাদ পেয়ে গুচ্ছগ্রাম সংগ্রাম সীমান্ত ফাড়িঁর বিজিবির ৫জন সদস্য গুচ্ছগ্রাম এলাকায় টহল কাজ শুরু করেন।

এ সময় অভিযান চালিয়ে এক ট্রাক মটরশুঁটি আটক করা হয়। তখন স্থানীয় গ্রামের লোকজন এবং চোরাকারবারিরা বিজিবির টহল দলের উপর হামলা করে ট্রাকসহ আটককৃত মটরশুঁটির গাড়িটি ছিনিয়ে নেন। এ ঘটনায় বিজিবির ২-৩ জন সদস্য আহত হন। আত্মরক্ষায় তখন বিজিবি সদস্যরা নিরাপদ স্থানে চলে যান। এক পর্যায়ে আরো ৬জন বিজিবি সদস্য টহল কাজে যোগদেয়।

বিজিবির উপর হামলার খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ পরিমল চন্দ্র দেব'র নির্দেশনায়, একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিজিবির দুইটি টহল দল নিয়ে যৌথ অভিযান চালিয়ে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্য হওয়া কিছু মটরশুঁটি উদ্ধার করে বলে জানা গেছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গতমঙ্গলবার বিকেলে গোয়াইনঘাটের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা জাহান সরকার’র নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযান পরিচালনা কালে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে মজুদকৃত মটর ডাল জব্দ করে তা ৩ লক্ষ ৮ হাজার ৪শত টাকায় উন্মুক্ত নিলামে বিক্রি এবং এ কাজে জরিত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে পৃথক মামলায় ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গোয়াইনঘাট থানার এসআই লিটন রায়সহ পুলিশ সদস্যরা।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া গোয়াইনঘাটের সহকারি কমিশনার (ভূমি) আসমা জাহান সরকার বলেন, ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মটর ডাল এনে গোয়াইনঘাট উপজেলার সীমান্তে মজুদকৃত মটর ডাল জব্দ করে উন্মুক্ত নিলামে তা ৩ লক্ষ ৮ হাজার ৪শত টাকায় বিক্রি এবং এ কাজে জরিত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে পৃথক মামলায় ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সীমান্তে এসব অপরাধ ঠেকাতে প্রশাসন, পুলিশ ও বিজিবি’র পাশাপাশি স্থানীয়দের এগিয়ে আশার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ধারাবাহিক অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এই ঘটনায় গোয়াইনঘাট থানায় সরকারী কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ করে সংগ্রাম ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার ইদ্রিস আলী, বাদী হয়ে। একই পরিবারের তিন সদস্য সহ ৪ জনের নামে মামলা করে, আসামিরা হল মোঃ নাছির উদ্দিন, নাজিম উদ্দিন,মান্না মিয়া, শামসুল মিয়াসহ অজ্ঞাত আরও ২৫/৩০জনকে বিজিবির পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

জাফলংয়ের সচেতন মহলের দাবি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এই চোরাকারবারি গডফাদার নাজিম উদ্দিন,নাছির মিয়া,ওদের পিতা মান্না মিয়ার চাঁদাবাজির খুঁটির জোর কোথায় সে এখনো প্রকাশ্য দিবালোকে ঘুরে বেরায় শনিবার রাতে চোরাই পথে ভারতে মটরশুঁটি পাচারকালে নাজিম উদ্দিন, ও তার সিন্ডিকেট চক্রের সদস্যরা টাকা দাবি করে টাকা না দেওয়ার কথা বললে নাজিম উদ্দিন ও তার সিন্ডিকেট চক্রের সদস্যরা মটরশুঁটি আটক করার অভিযোগ উঠেছে। জাফলংয়ের সচেতন মহলের দাবি জাফলং সীমান্তের আতঙ্কের আরেক নাম নাজিম উদ্দিন পরিবারের সদস্যরা সিন্ডিকেট তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় না আনতে পারলে ঘটতে পারে যে কোন সময় জাফলং সীমান্ত এলাকায় বড় ধরনের মৃত্যুর মতো দুর্ঘটনা।

এদিকে বিজিবি ও চোরাকারবারিদের হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ পরিমল চন্দ্র মোবাইল ফোনে এ প্রতিবেদককে জানান যে, হামলার বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে এবং এ বিষয়ে তদন্ত চলছে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এলাই বিজিবি পুলিশের মাধ্যমে। তাছাড়া সংগ্রাম ক্যাম্পের কমান্ডারের মোবাইলে কল দিয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি বলেন গত কিছুদিন আগে আমরা সীমান্ত এলাকায় একটি চোরাকারবারীদের মটরশুঁটি ডাল বোঝাই গাড়ি দাওয়া করিলে গাড়িটা গুচ্ছ গ্রাম গিয়ে নাজিম উদ্দীন ও ড্রাইভার নাছির মিয়া, ও মান্না মিয়া,সামছুল মিয়া এসে আমাদের কাজে বাধা দেন এবং টহলরত বিজিবিকে বেরিকেট দিয়ে হামলা চালিয়ে গাড়ি চুটিয়ে নেয়। তথ্য সংগ্রহ সংবাদকর্মী ইব্রাহিম আলী।