মোঃ জাকির হোসেন মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার ০৫ নং জায়ফর নগর ইউনিয়নের বিবাদীর বসত বাড়ীতে ঘটনাটি ঘটে সাং মধ্য ভোগতেরা, প্রবাসী মতিউর রহমানের স্ত্রী মোছাঃ শাহনাজ আক্তারের উপরে অমানবিক নির্যাতন করে তারই স্বামীর আপন বড় ভাই মোবাশির আলী (৪২). পিতা মছকন্দ আলী
নির্যাতনে স্বীকার মোছাঃ শাহনাজ আক্তার জানান - আমার স্বামী প্রবাসে থাকে।
আমার ভাসুর খুব দুষ্ট স্বভাবের লোক,
দীর্ঘদিন ধরে তাকে বিভিন্ন ভাবে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে আসছেন
শাহনাজ আক্তার তার একটি ছেলেকে নিয়ে বসবাস করছেন ৷ বিবাহের পর হইতে উপরোক্ত বিবাদী পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমার সাথে ঝগড়া বিবাদ করে আসছেন৷ উক্ত বিষয় নিয়ে আমার পরিবারের লোকজনদের অবগত করিলে তাহারা এলাকায় বিচার সালিশ করিয়া উভয় পক্ষকে আপোষ মিমাংসা করিয়ে দেওয়ায় সময়ই ঘটে এ ঘটনা ১৪/০৫//২০২২ ইং তারিখ রাত অনুমান ০৭.৩০ মিনেটে সময় বিবাদী পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে৷ তখন আমি বিবাদীকে গালি গালাজ না করতে বলায় আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমার চুলের মুঠিতে ধরে কীল ঘুষি লাথি মেড়ে মাটিতে ফেলে শ্লীলতাহানি করার উদ্দেশ্যে আমার পড়নের কাপড় টানা হেছড়া করে ছিড়ে ফেলে। ঐসময় আমি চিৎকার করিলে,
মোবাশির আলী তার হাতে থাকা স্টিলের লাইট দিয়ে হত্যার উদ্যেশে আমার মাথায় আঘাত করে, ফলে আমার মাথা ফেটে যায় এমতা অবস্থায় আমি চিৎকার করিলে ।
আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে তখন তখন মোবাশির আলী আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যান লোকজন এর সম্মুখেই মোবাশির আলী আমার গলা চেপে ধরে হুমকি দেয়, এই বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে বা মামলা করলে আমাকে প্রাণে হত্যা করিবে বলে।
রক্তাক্ত অবস্থায় আমাকে উদ্ধার করে প্রতিবেশীরা জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। পরবর্তীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার সদর হসপিটালে নিয়ে জাওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে একটু সুস্থ হয়ে আমি জুড়ী থানায় বাদী হয়ে মোবাশির আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করি।
আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি
মোবাশির আলী যেকোনো মুহুর্তে আমার বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে।
শাহনাজ আক্তার জুড়ী থানার পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন
মোবাশির আলীকে আইনের আওতায় এনে কঠিনতম শাস্তির দাবি জানান।
যাতে তার মতন অন্য কোন নারী লাঞ্ছিত বা নির্যাতনের স্বীকার না হয়।
বাদী শাহনাজ আক্তার বেবি, বড় ভাসুর মোঃ পাতির আলী বলেন পারিবারিক বিচার সালিশের সময় আমার ভাই মোবাশির আলী তার হাতে থাকা স্টিলের লাইট দিয়ে মোছাঃ শাহনাজ আক্তার বেবির মাথায় আঘাত করে
এব্যাপারে জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তী কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান
বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।