জুড়ীর মনতৈল মাজহারুল উপরে নির্যাতন ও প্রাণে হত্যাসহ হুমকি থানায় অভিযোগ
( মৌলভীবাজার) প্রতিনিধিঃ
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার মনতৈল গ্রামে ঘটনাটি ঘটে উল্লেখ্য গত, ২৯/০৩/২০২১ ও ৩১/০৩/২০২১ইং তারিখে জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসার জন্যে নেয়ার পর মনতৈল গ্রামের ও মনতৈল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী মাজহারুল (১৩) নামের একজন শিশু নির্যাতন ও নিখোঁজের ঘটনায় উদ্ধার শিশু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্যে নেয়ার পর চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার ঘটে
আসামি, বিবাদী ১। মুবিদ মিয়া (৩০) পিতা ইয়াকুব আলী, ২। নুরুল মিয়া (২১) পিতা সিরাজ মিয়া, উভয় সং মনতৈল, থানা জুড়ী জেলা- মৌলভীবাজার
সাক্ষাৎঃ- ১। বাদী ২। মাজহারুল ইসলাম (১২), পিতা ইলিয়াছ মিয়া, ৩। তান্নি আঔার (২২) স্বামী বেলাল মিয়া, উভয় সাং মনতৈল থানা জুড়ী জেলা -মৌলভীবাজার সহ অনেকে৷
ঘটনাস্থলঃ জুড়ী থানাধীন মনতৈল বাদীর বসত বাড়ী ঘটনার তারিখ ও সময় রাত অনুমান ৮ টায়
আয়া বেগম বলেন বিবাদের সহিত পারিবারিক বিষয় নিয়ে দীঘদিন হইতে বিরোধ চলিয়া আসিতেছিল উক্ত বিষয় নিয়ে জুড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করি৷ বিবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার পর হইতে বিবাদীগণ আমাকে বিভিন্ন সময়
প্রাণে হত্যাসহ আমাকে, আমার পরিবারের সদস্যদের অপহরণ করিবে মর্মে হুমকি প্রদান করিত৷
গত ২৯/০৩/ ২০২১ইং তারিখ রাত অনুমান ০৮. ঘটিকার সময় বিবাদীগন আমাকে বিভিন্ন পূর্ব পারিকল্পত ভাবে আমার ছেলে ২নং সাক্ষী মাজহারুল ইসলাম (১২) কে অপহরণ করিয়া নিয়ে যায় এবং আমার নিকট মুক্তিপন দাবি করে৷ গত ০৩/০৪/২০২১ইং তারিখ সকাল অনুমান ৮ ঘটিকার সময় আমার ছেলে বাড়ীতে আসিয়া কান্নাকাটি করে তখন আমি তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় যে৷ উপরোক্ত বিবাদীদ্বয় সহ অজ্ঞাত নাম ২/৩ জন তাকে হাত পাতা বেধে নিয়ে যায় এবং একটি ঘরে বন্দী করে রাখে৷ পরবর্তীতে আমি উপরোক্ত বিবাদীদ্বয়কে উক্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে বিবাদীগণ আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তখন আমি বিবাদীদ্বয়ের সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে বিবাদীদ্বয় ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর করার চেষ্টা করে তখন আমার চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীদ্বয় ঘটনাস্থল হইতে দোঁড়ে পালিয়ে যায় এবং আমাকে মারিবে কাটিবে প্রাণে হত্যাসহ লাশ চেষ্টা করে হুমকি ধমকি প্রদান করে৷ পরবর্তীতে উক্ত ঘটনার বিষয়ে আমার আত্মীয়-স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করিয়া জুড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করি৷
এব্যাপারে জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, এবিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply