জামিরুল ইসলাম জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি
জয়পুরহাটে ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাটগুলো। অস্থায়ীভাবে জেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট বসেছে শহরের সিমেন্ট ফ্যাক্টরি মাঠে। তবে হাট জমে উঠলেও দাম বেশি হওয়ায় বেচাকেনা একেবারেই কম। এছাড়া অন্য জেলা থেকে ব্যবসায়ীরাও অনেক কম আসছেন।
এদিকে প্রশাসন ও হাট কর্তৃপক্ষ ক্রেতা বিক্রেতাকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সর্বাত্বক চেষ্টা করলেও অনেকে তা মানছেনা।
জয়পুরহাট জেলা ভারত সীমান্তঘেষা হওয়ায় প্রতিবছর এখানকার কোরবানির হাট গুলোতে ভারত থেকে লাখ লাখ গরু আসতো। তবে এবারে করোনার কারণে এ জেলার পশুর হাটে কোন ভারতীয় গরু নেই।
জয়পুরহাটের কোরবানির হাটগুলোতে এখন শুধু দেশীয় গরু । বর্তমানে হাট জমে উঠলেও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা না আসায় বেচাকেনা কম হচ্ছে। আর ভারতীয় গরু না থাকায় শুধুমাত্র দেশীয় গরু হাটে আসায় দামটাও বেশি।
রেজাউল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, গরু কিনতে আসছিলাম। কিন্তু দাম অনেক বেশি। তাই এ হাটে কিনতে পারলাম না। কাল পরশু অন্য হাটে দেখব।
ছাগল কিনতে আসা হায়দার আলী নামে ব্যক্তি বলেন, একটি ছাগল কিনতে এসেছি। দাম অনেক বেশি চাচ্ছে। ২০ হাজার দাম চেয়েছে। আমি ১৩ হাজার বলেছি।
ইসমাইল নামে এক বিক্রেতা বলেন, দুইটি গরু নিয়ে এসেছি। দাম বলছে ৭ লাখ। আমি ১০ লাখ হলে বিক্রি করবো।
মিজানুর রহমান নামে এক বিক্রেতা বলেন, ৪ টি গরু নিয়ে এসেছি। কিন্তু এখনও একটিও বিক্রি করতে পারিনি। ক্রেতা অনেক কম।
হাট ইজারাদার কালি চরণ আগরওয়ালা বাংলাদেশ জার্নালকে জানান, হাটে প্রচুর গরু-ছাগল আমদানি হয়েছে। কিন্তু ক্রেতা অনেক কম। করোনা ও রাস্তায় অধিক যানজটের কারণে দুর দুরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা তেমন আসতে পারছেননা।
এজন্য বিক্রি একটু কম হচ্ছে। এছাড়াও ভারত থেকে এবার কোন গরু আসেনি। তাই দামটাও একটু বেশি। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মানাতে মাইকিং, বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণসহ হাটে আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মী কাজ করছে।
এ বিষয়ে সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আরাফাত হোসেন বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, হাটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে। কেউ স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করলে তাকে জরিমানা করা হচ্ছে।