1. [email protected] : দৈনিক বিজয়ের বানী : দৈনিক বিজয়ের বানী
  2. [email protected] : Hasan :
  3. [email protected] : dev : dev
ঝিনাইদহের বালিয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ কেঁটে সাঁবাড় ! দেখার কেউ নেই - dainikbijoyerbani.com
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৮ অপরাহ্ন
ad

ঝিনাইদহের বালিয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ কেঁটে সাঁবাড় ! দেখার কেউ নেই

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২১
  • ১০৮ Time View

ঝিনাইদহের বালিয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ কেঁটে সাঁবাড় ! দেখার কেউ নেই

সবুজ মিয়া,ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কালিচরনপুর ইউনিয়নের ৩৫ নং বালিয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি গাছ কেঁটে সাবাড় করে দিয়েছে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মিতা ঘোষ। বুধবার ( ২৭ জানুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের সামনে যেখানে ছিল অর্ধশত বছরের নারিকেল গাছ, জামগাছ, ভুত নিমসহ বেশ কয়েকটি পুরাতন গাছ। যা এখন শুধু মরুভুমিতে পরিণত হয়ে আছে। স্থানীয়রা জানান, এই গাছের মধ্যে এমন একটি বড় জাম গাছ ছিল যার বয়স হবে আনুমানিক ৫০ বছর। এছাড়াও বেশ কয়েকটি গাছ ছিল যা দ্বারা স্কুলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছিল। তাছাড়া জায়গাটিতেও ছিল ছাঁয়া। কিন্তু হঠাৎ দেখি গাছগুলো নেই, গাছের ছায়াও চোখে পড়ে না। পরে গাছের গোড়াই গিয়ে দেখি গাছগুলো কেটে গাছের গোড়াই বালি দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। তখন বিষয়টি এলাকার মানুষের মাঝে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয় যে, গাছ কেটে কেন গাছের গোঁড়া বালি দিয়ে ঢেকে রাখা হল। এর রহস্য নিয়ে এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানে কোন কমিটি নেই। প্রধান শিক্ষক নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্যই কমিটি গঠন করে না। প্রতিষ্ঠানে একটি কমিটি থাকলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকতো। যে কারণে কোন বাঁধা বিঘ্ন ছাড়ায় প্রধান শিক্ষিকা তার নিজের ইচ্ছামত কাজ করে যাচ্ছেন। তাই স্কুলের গাছ কাঁটার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মিতা ঘোষের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সুধাংশ শেখর বিশ্বাসকে জানিয়েই গাছ কাটা হয়েছে। তবে জাম গাছটির ব্যাপারে জমিদাতা স্থানীয় জব্বার কে দোষারোপ করে বলেন, জাম গাছটি সে কেটেছে।
জমিদাতা জব্বার হোসেনের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্কুলের গাছ কাটার এখতিয়ার আমার নেই। এই গাছগুলো স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নিজে থেকেই কেটেছে। যে গাছগুলো কিনেছে, আপনি তার কাছে জিজ্ঞেস করলে ক্লিয়ার হয়ে যাবেন।
বিষয়টির ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে উপজেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সুধাংশ শেখর বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে গাছ কাটার বিষয়ে তাকে জানিয়ে কাটা হয়নি বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানের ৩শত টাকার গাছ কাটতে হলেও টেন্ডার করে কাটার নিয়ম রয়েছে।

সবুজ মিয়া,ঝিনাইদহ।
০১৯১০৯২১৫৪৬
তাং- ২৭-০১-২০২১ ইং

ad

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
ad
ad
© All rights reserved 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি