ঝিনাইদহ মুক্তিযোদ্ধাকে মসজিদ থেকে বের করে দিলেন রাজ্জাক মাস্টার
স্বপন মাহমুদ - ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহ জেলার ৯ নম্বর পোড়াহটি ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ও ১৯৭১সালের বীর মুক্তিযোদ্ধা নিয়ামত আলীর মোল্লা কে ফজরের নামাজ পড়ার সময় ঘাড়ে ধাক্কা দিয়ে মসজিদ থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে! বীর মুক্তিযোদ্ধা জানান আমি মধুপুর বাজারের মসজিদে প্রতিনিয়ত মসজিদে নামাজ পড়ায় প্রতিদিনের মত গত সোমবারে আমি ফজরের নামাজ পড়াইতে চাই আযান দেওয়ার পরে রাজ্জাক মাস্টার মসজিদে আসে এসে আমাকে হঠাৎ অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে আমি আমার অপরাধ জানতে চাইলে জানতে চাইলে তিনি আমাকে বলেন আমার নেতৃত্বে এলাকায় যে গ্যাঞ্জাম ফেসাদ হয়েছে এই ব্যাপারে পুলিশের কে কি বলেছো আমি বললাম আমি পুলিশকে কিছু বলি নাই তারপরে পিছনে তাকিয়ে দেখি ১৯৭১সালের রাজাকারের পিস কমিটির সভাপতি ইসাহক মোল্লার ছেলে মতিয়ার মোল্লা ফেলু মোল্লার ছেলে কটন মোল্লা আরিফ মোল্যা রাজাকার বকুল বাহিনীর প্রধান বকুল সহ আরো অনেকেই! যখন সবাই আমাকে ঘিরে ধরে আমার অপরাধ জানতে চাইলে আমাকে মারতে ছুটে আসে সবাই আমি দিশেহারা না পেয়ে আমার ছেলে কে খবর দেই! আমার ছেলে এসে আমাকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসে! এবং আমাকে বলে যে বাড়ি থেকে বের হতে পারবি না! তাড়া আমাকে হত্যার হুমকি দেয়! আমি থানাতে একটা জিডি করতে চাইলে আমার বাড়ি থেকে বেরোনো নিষেধ করছে! তিনি আক্ষেপ করে বলেন আমি যুদ্ধ করে কি পেলাম! এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায় এলাকায় যত গ্যাঞ্জাম ফেসাদ খুন ধর্ষণ মামলার মদদদাতা এই রাজাকার বকুল বাহিনী! এলাকায় চাঁদাবাজি করে গড়ে তুলেছেন লাখ লাখ টাকার সম্পত্তি গড়ে তুলেছেন এই রাজাকার বকুল বাহিনী পরের জমি দখল করা সহ এলাকায় শালিশ বাণিজ্য এমন কোন অপকর্ম নাই যা বকুল বাহিনী করে না! আরো খোজ নিয়ে জানা যায় এলাকায় গ্যানজাম মারামারি করিয়ে দুই পক্ষকে কোর্টে হাজির করে হয়রানি শিকার করা সহ টাকা ইনকাম করার লাইন তার সারাদিনের রুটিন! তার ভয়ে এলাকার মানুষ সব সময় আতঙ্ক থাকে রাজাকার বকুল বাহিনী যখন তার বাহিনী নিয়ে মধুপুর বাজারে আসেন তখন বাজারের পান বিড়ি সিগারেট এবং চাউলের দোকান বন্ধ হয়ে যায়! তা না হলে সমস্ত কিছু জোর করে দোকান থেকে বের করে নেওয়ার অভিযোগ আছে! নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন হিন্দু ধর্মীয় দাদা জানান আমরা রাজাকার বকুল বাহিনীর ভয়ে সন্ধ্যার পরে বাজারে থাকি না! কারন আমরা রাজাকার বকুল এর বাহিনীর হাতে আমাদের এলাকার অনেক হিন্দু পরিবার নির্যাতিত হয়েছি! এবং অনেকেই হিন্দু পরিবার রাজাকার বকুল বাহিনী এর ভয়ে ভারতে পালিয়ে গেছে! আপনার কাছে আমার অনুরোধ আপনি আমার নাম প্রকাশ করবেন না তাহলে রাজাকার বকুল বাহিনী আমার কথা শোনার পড়ে আমার পরিবারের উপর অত্যাচার শুরু করবে আপনারা সাংবাদিক এলাকায় খোজ নেন আরো অনেক ঘটনা জানতে পারবেন রাজাকার বকুল বাহিনী খুবই খারাপ একজন মানুষ! প্রশাসনের নাকের ডগায় নীরব চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে রাজাকার বকুল বাহিনী এলাকাবাসী জানতে চাই রাজাকার বকুল বাহিনীর খুটির জোর কোথায়! মুক্তিযোদ্ধার ছেলে মানিক মোল্লা জানাই আমার বাবা দেশের জন্য অনেক কিছু করেছেন কিন্তু কি লাভ পেলে বকুল বাহিনীর হাতে আমরা লাঞ্ছিত হচ্ছি! আমরা বাজার ঘাটে যেতে পারছিনা বকুল বাহিনীর ভয়ে আমরা সরকারের কাছে বিচার চাই! আমার বাবার কি অপরাধ! এই ব্যাপারে বকুল বাহিনীর বকুলের সাথে ০১৭২৭৬৬৫৮৭১ ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায় নাই! ৯নম্বর পোড়াহাটি ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান জনাব মোঃ শহিদুল ইসলাম হিরন সাথে যোগাযোগ করতে গেলে তিনি বলেন আমি গরিব অসহায় মানুষের চাউল বিতরণ নিয়ে ব্যস্ত আছি