মোঃ লিমন গাজী
বরগুনা জেলা প্রতিনিধি।
ভালোই যাচ্ছিলো আল-আমিন ও মৌসুমি খানম দম্পতির সংসার। এরইমধ্যে তাদের কোল জুড়ে আসে ফুটফুটে সন্তান তাহিয়া। এতে আল-আমিনের খুশির অন্ত ছিল না। সে স্বপ্ন বুনতে শুরু করে তার মেয়ে বড় হয়ে একদিন মানুষের সেবা করবে।
কিন্তু সেই আশায় অনেকটাই ভাটা পড়ে। কারণ তার মেয়ে বিরল রোগ বিলিয়ারী এট্রেসিয়ায় (Biliary Atresia) আক্রান্ত।
এরপর শুরু আল-আমিন ও মৌসুমি খানমের এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ছুটে চলা। অকূল পাথারে পড়ে এই দম্পতি।
তাদের লক্ষ্য একটাই যে করেই হোক মেয়েকে সুস্থ করে তোলা। কিন্তু একটা পর্যায়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েন বাবা আল-আমিন আর অর্থাভাবে ধুকে ধুকে মৃত্যু পথযাত্রী তাহিয়া আমিন। চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর যেন কিছুই করার নেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আল-আমিনের।
বরগুনার তালতলীর উপজেলার জাকির তবক গ্রামের তাহিয়া আমিনের অর্থযোগানের জন্য এখন হৃদয়বান-বিত্তবানদের দ্বারে হাত পেতেছেন তার বাবা আল-আমিন ও মা মৌসুমি খানম।
বাবা আল-আমিন জানান, অর্থের অভাবে আমার পাঁচ মাস বয়সের মেয়েটি মৃত্যুর পথে এগিয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসার জন্য ঢাকার নানা হাসপাতালে ঘুরছি। কোনো কাজ হয়নি। শুধু অর্থই ব্যয় করেছি। এখন আমি প্রায় নিঃস্ব।
চিকিৎসকরা তাহিয়াকে ভারতের চেন্নাইয়ের রেলা ইনস্টিটিউটে নিয়ে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করতে বলেছেন। এতে প্রায় ৫০-৬০ লাখ টাকার মতো খরচ হবে। এই টাকা কোনোভাবেই এখন আমি যোগাড় করতে পারছি না। চোখের সামনে মেয়ের মৃত্যু দেখা ছাড়া কোনো রাস্তা নেই আমার।
তাহিয়াকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ কে এম জাহিদ হোসেনের কাছে। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট দেখে তিনি জানান, ভারতের চেন্নাইয়ের রেলা ইনস্টিটিউটে নিয়ে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করলে তাকে বাঁচানো সম্ভব।
এই অবস্থায় তাহিয়ার বাবা আল-আমিন মেয়েকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান ও হৃদয়বানদের সহযোগিতা চেয়েছেন। কেউ তাহিয়ার চিকিৎসায় আর্থিক সহযোগিতা করতে চাইলে তার বাবা আল আমিনের সঙ্গে মুঠোফোনে বা সহযোগিতা করতে চাইলে। (০১৭১৯-৬৫৯২৫৩) কথা বলতে পারেন।