নিজস্ব প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় তার পিএস হাফিজুর রহমানের দায়ের করা মামলায় গতকাল দুপুরে আমলী আদালত ‘ক অঞ্চল’র বিচারক মোনালিসা এ আদেশ দেন।
নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক সোজাসাপটা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আবু সাউদ মাসুদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় তার পিএস হাফিজুর রহমানের দায়ের করা মামলায় গতকাল দুপুরে আমলী আদালত ‘ক অঞ্চল’র বিচারক মোনালিসা এ আদেশ দেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো অন্যায় বা মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করিনি। আমার বিরুদ্ধে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ও ওয়ারেন্ট হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এই আইনে কোনো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা বা হয়রানি করা হবে না।
কিন্তু সরকার তাদের সেই কথা রাখতে পারেনি। বিভিন্ন সময়ে আমরা দেখছি সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করার জন্য এই আইনের অপব্যবহার করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমার বিরুদ্ধে মামলা এবং ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে। এই বিষয়ে সরকারের উচ্চ মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। একইসঙ্গে আইনিভাবেই এই মামলা ও ওয়ারেন্টের মোকাবিলা করবো। আবু সাউদ মাসুদের আইনজীবী এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আসলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে হরণ করার জন্যই এই আইনটি তৈরি করা হয়েছে। সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করার জন্য আইনটি তৈরি করেছে সরকার।
জানা গেছে, শামীম ওসমানকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে গত ৮ই ডিসেম্বর রাতে দৈনিক সোজাসাপটা পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক আবু সাউদ মাসুদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৯ ও ৩১ ধারায় মামলা দায়ের করে সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) হাফিজুর রহমান। এ মামলায় প্রথমে হাইকোর্ট থেকে ২ সপ্তাহের জামিন পান আবু সাউদ মাসুদ। পরবর্তীতে চার্জশিট প্রদানের পূর্বপর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করে সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত। গতকাল আদালতে চার্জশিট প্রদান করে পুলিশ। পরবর্তীতে বিবাদীর আইনজীবী আদালতে টাইম পিটিশন চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করে আবু সাউদ মাসুদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
সাংবাদিক মাসুদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে ওয়ারেন্ট করার কারনে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল জার্নালিস্ট এন্ড হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল এ-র চেয়ারম্যান ও মহাসচিব
দৈনিক বিজয়ের বানি পত্রিকায় একান্ত সাক্ষাৎ কারে সংগঠন এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তারা এসকল মিথ্যা মামলায় সাংবাদিকদের হয়রানি না করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংস্করণ করে সাংবাদিক সমাজ কে ভয়মুক্ত কাজের নিশ্চয়ইতা প্রধান করতে হবে এবং সাংবাদিক মাসুদের পক্ষে আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল জার্নালিস্ট এন্ড হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল বিজ্ঞ আইনজীবী নিয়োগ করবেন বলে জানান।