ডোমারের এক অসহায় বিধবা নারীর জীবনের গল্প। মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ৯ নং সোনারায় ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের পাটাকাটা বাইশসালু পাড়ার বাসিন্দা মোছাঃ নুরবানু, স্বামী মৃত আব্দুল হামিদ। বাংলাদেশে দারিদ্র্য সিমার নিচে বসরাত নুরবানুর মতো অনেক বিধবা মহিলাকে জীবনে সংগ্রাম করে চলতে হয। ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা খরচ জোগাতে কাজ করতে হয় অন্যের বাড়িতে বা বাসায়। তেমনি একজন বিধবা নারী নুরবানু জানান, আমার স্বামী কয়েক মাস আগে মারা গিয়েছে আমার ও আমার সন্তানের জন্য রেখে গিয়েছে বসতভিটা। একদিন কাজ না করলে আমাকে না খেয়ে থাকতে হয়। গ্রামে দৈনিক হাজিরা পুরুষদের চাইতে মহিলাদের কম হওয়ায় প্রত্যেক দিন কাজ করেও সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। ভিজিডি কার্ড, বিধবা ভাতা ও সরকারি অনুদান কোনো কিছু পাইনি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের কাছ থেকে। আমার রয়েছে একটি ছেলে মোঃ নুর হোসেন (১০) সেও মাঝে মধ্যে মানুষের বাড়িতে কাজ করে এক মুঠো ভাতের জন্য এ বয়স টা তাঁর পড়াশোনা ও খেলাধুলা করার সময় কি করবো যেহেতু আল্লাহ আমাদের গরীব করে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে। এই কনকনে শীতে টাকার অভাবে কিনতে পারিনি শীতের পোশাক তাই শীতের সাথে যুদ্ধ করে বসবাস করতেছি। আমার থাকার ঘরের অবস্থা খুবই নাজেহাল ঘরের চাটি/ বেড়া গুলো ভাঙ্গা চুরা শীতে রাত্রি গুলো খবই কষ্ট করে কাটাতে হয় এখন। সমাজে বিত্তবান মানুষ গুলো কেউ সা হায্য করতে এগিয়ে আসে না। এই অসহায় বিধবা নারীদের কষ্টের চিত্র কোনদিন জনপ্রতিনিধি ও বিত্তবানদের চোখে পড়বে।