তামিমের বরিশালকে হারালো মিঠুনের চট্রগ্রাম
মোঃ বাবুল রানা ভোলা জেলার প্রতিনিধি
আসরটা দুর্দান্ত কাটছে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের। তৃতীয় ম্যাচেও জয় পেয়েছে তারা। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে ১০ রানে হারিয়েছে তারা। টস হেরে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৫১ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম। জবাবে ৮ উইকেটে ১৪১ রান তুলতে সক্ষম হয় বরিশাল।
গুরুর কাছে শিষ্যের হার। তবে ব্যবধানটা বেশি নয়। তবুও ১০ রানের ব্যবধানই যে তামিমের দলের বিপক্ষে সালাউদ্দিনের শিষ্যদের ৩ পয়েন্ট অর্জনে যথেষ্ট!
আগের দুই ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকাকে ৮৬ আর জেমকন খুলনাকে ৮৮ রানে অলআউট করে দিয়েছিলো গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। এবার তাই ঝুঁকি নিলেন না ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। টস জিতে চট্টগ্রামকে পাঠালেন ব্যাটিংয়ে। আদর্শ সূচনা না হলেও, আসরে প্রথমবারের মতো ব্যাটিং পরীক্ষায় নামা দলটা খারাপ করেনি। দলীয় ২২ ও ব্যক্তিগত ৫ রানে বিদায় নেন সৌম্য।
লিটনকে কিছু সময় সঙ্গ দেন অধিনায়ক মিঠুন। সাবলীল ঢংয়ে খেলতে থাকা লিটন থামেন ২৫ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলে।
টি-টোয়েন্টি সুলভ না হলেও শামসুর রহমান শুভ'র ২৬ আর মোসাদ্দেকের ২৮ রানে লড়াইয়ের ভিত গড়ে চট্টগ্রাম।
তবে, শেষ ৩ ওভারে ৪২ রান তুলে স্কোরটাকে পূর্ণতা দেন সালাউদ্দিন শিষ্যরা। ১১ বলে ২৭ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন সৈকত আলি। ডেথ ওভারে রাহীর খরুচে বোলিংয়ের মাশুল গুনতে হয় তামিমদের। দেড়শ রান পেরিয়ে যায় চট্টগ্রাম।
জবাব দিতে নামা বরিশাল ওপেনিংয়ে তামিমের সঙ্গী হিসেবে আবারও আস্থা রাখে মেহেদি মিরাজে। নড়বড়ে মিরাজ এদিনও ব্যর্থ। ফেরেন ১৩ রান করে।
রয়েসয়ে খেলেন ক্যাপ্টেন তামিম। মোসাদ্দেকের শিকার হওয়ার আগে ৩২ রানের ইনিংস খেলে দলকে রেখে যান ৬৭'তে।
দায়িত্বটা বর্তায় ইয়াংস্টারদের কাঁধে। ইমন আর তৌহিদ হৃদয় সে দায়িত্ব পালনে সফল হননি।
স্নায়ুযুদ্ধে পরাজিত আফিফও। শরিফুলের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে ২৪ রান করে এই ব্যাটসম্যান আউট হলে আরও বিপাকে পড়ে চট্টগ্রাম।
সালাউদ্দিনের পেস আক্রমণে কুপোকাত বাকিরাও। এদিনও ত্রাস ছড়ান মোস্তাফিজ-শরিফুল। ৩টি করে উইকেট নেন দু'জনই। প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়েও সালাউদ্দিনের দলকে হারাতে পারেনি তামিমরা।