তৃনমূলের বাছাইয়ে গোলখালী ইউনিয়নে সবার শীর্ষে মোঃআলমগীর হোসেন।
মোঃমাজহারুল ইসলাম মলি
গলাচিপা, পটুয়াখালীঃ পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আসন্ন ২ নম্বর গোলখালী ইউনিয়নের মৃতঃমোঃহামেদ মৃধার পুত্র ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ১৯৭১সালে জন্মগ্রহন করেন মোঃআলমগীর হোসেন। ছোট বেলা থেকেই রাজনীতি করার ছিল প্রবল ইচ্ছে। উচ্চ শিক্ষার জন্য ঢাকাতে গিয়ে ভর্তি হন গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে। সেখানেই তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন।এখানে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বহুবার মামলা হামলার শিকার হয়েছেন। জেল ও খেটেছেন বহুবার। ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মনোনিত,ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ নির্বাচনে সদস্য হন হালিম -পরাগ পরিষদে।ক্রিয়া সম্পাদক হন কাসেম-সেলিম পরিষদে ১৯৮৯।১৯৯০ সালে জি এস নির্বাচিত হন বাসেদ- আলমগীর পরিষদে। ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ১৯৮৮-৯৬ সাল পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদক সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য,ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা।জন্মভূমির টানে, জনগনের ভালবাসায়, জনসেবার জন্য চলে আসেন মাতৃভূমি। ২০০১-১৪ সাল পর্যন্ত নলুয়াবাগী সাংগঠনিক ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন সততা ও যোগ্য নেতৃত্বে। ২০০২-১৫ সাল পর্যন্ত গলাচিপা উপজেলা আওয়ামিলীগ এর সদস্য ছিলেন। বর্তমানে তিনি গলাচিপা উপজেলা আওয়ামিলীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে তৃণমূলের রেজুলেশন যে কেন্দ্রে পাঠাতে বলা হয়েছে তাতে তিনি ০১ নং এ রয়েছে। এ বিষয় জানতে চাইলে তিনি আমাদের প্রতিনিধিকে জানান,তৃনমূল নেতাকর্মীদের ভালবাসাময় আমি সিক্ত। আমি প্রথমেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি গলাচিপা-দশমিনার মা মাটি ও সাধারণ মানুষের নেতা জননেতা জনাব এস এম শাহজাদা এমপি মহোদয়,জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, উপজেলা আওয়ামিলীগ এর নেতৃবৃন্দ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহিন, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নিজাম উদ্দিন,মোফাজ্জলে হোসেন মাসুদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফ আহমেদ আসিফ ও সাধারণ সম্পাদক মোঃজাহিদ হোসাইন, সহ যারা আমার জন্য দিনভর অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনিময়ে আমার এ অর্জন সকলের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা।তৃনমূলের দিন গলাচিপা উপজেলা আওয়ামিলীগ, যুবলীগ,ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ ও গোলখালী ইউনিয়ন এবং নলুয়াবাগী সাংগঠনিক ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সাথে ছিলেন। মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেয় এবং আমি নির্বাচনে নির্বাচিত হলে নাগরিক সেবা পৌঁছে দিতে চেয়ারম্যান নয়, ইউনিয়নবাসীর সেবক হতে চাই বললেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন। দৃষ্টিনন্দন, পরিচ্ছন্ন ও আধুনিক ইউনিয়নে রুপান্তরিত করবো।
সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আলমগীর হোসেন বলেন- রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, কবরস্থান, জরুরি এ্যাম্বুলেন্স সেবা, ভাতা প্রদানসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতামূলক কার্যক্রম চালু করবো। একান্ত আলাপকালে তিনি তার বিভিন্ন পরিকল্পনা ইউনিয়নবাসীর উদ্দেশ্য তুলে ধরে বলেন- পুরাতন রাস্তা মেরামত, নতুন রাস্তা তৈরি ও রাস্তা প্রশস্ত করে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে নাগরিকদের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করবো। পরিকল্পিতভাবে রাস্তার সঙ্গে ড্রেন তৈরি করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যেমন মসজিদ, মন্দির, কবরস্থান ও শ্মশান ঘাটের উন্নয়ন, শিক্ষার অধিকার যাতে ইউনিয়নবাসীর দোরগোড়ায় পৌঁছে তা নিশ্চিত করা। তাছাড়া অনেক সড়কে এখনো নেই পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, প্রত্যেকটি সড়কে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করে দিব। যাতে এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা থেকে মুক্ত থাকে।
তিনি আরো বলেন, অতীতে সবসময় মানুষের পাশে থেকে সেবামূলক কাজ করেছি। করোনাভাইরাস সঙ্কটে দিন-রাত খাদ্য সামগ্রী নিয়ে কর্মহীন, অসহায় শ্রমজীবী ও ভাসমান মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। ইতিমধ্যেই মাননীয় সংসদ সদস্যের মাধ্যমে এলাকায় গৃহহীন দের মধ্যে ৪৫টি ঘর বিতরণ, বহু মসজিদে মন্দিরে সোলার লাইট স্থাপন, রাস্তার পার্শ্বে স্টিট লাইট স্থাপন, অনেক কাঁচা ও পাকা রাস্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শীতার্ত মানুষের মধ্যে ৫শত কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। ৩০টি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। যুবকদের সামাজিকভাবে সম্মিলিত করে বিভিন্ন কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করবো এবং তাদের সাংস্কৃতিক উন্নয়নের জন্য ইতিমধ্যে কাজ করছি। হতদরিদ্র মানুষের চিকিৎসা ব্যয়ভার নিজে বহন করছি। আমি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও ভাতা প্রদানসহ নানা উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে দেখিয়ে দিতে চাই যে ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। তিনি আরো বলেন, আমার কোন পিছুটান নেই। অর্থের প্রতি কোন লোভ নেই। আছে সম্মান আর জনগনের সেবা করে ভালবাসা পাবার লোভ। আমি নির্বাচিত হই বা না হই মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করতে চাই।
গলাচিপা উপজেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, মাননীয় সংসদ সদস্য ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে মননোয়ন দিলে গোলখালী ইউনিয়নকে আমি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে উপহার দিব।