দর্শনার কোটালী আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মেয়েকে জোর করে বাল্যবিয়ে
আলিফ হোসেন চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:
বাল্য বিবাহ ” শব্দটা বাংলাদেশে একটা সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। এই ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে কত প্রাণ অকালে ঝড়ে পড়ছে তার সঠিক হিসেব কি কেউ রাখছে বা নিচ্ছে? বলা হয় অপুষ্টি বা জরায়ু ক্যান্সার বা কঠিন কোন অসুখে পড়ে মারা গেছে। অশিক্ষিত পরিবারে কন্যা সন্তান জন্ম নেয়াটাই যেন পাপ। পিতামাতা শুধু একথাটাই ভাবেন, মেয়েটা কখন একটু বড় হবে? বিয়েটা দিতে পারলেই যেন বাঁচেন। একটি অসুস্থ প্রতিযোগীতার মতো চলছে ব্যাপারটি। সরকারীভাবে বহু সচেতনতা ও শাস্তির বিধান থাকলেও কে শুনে কার কথা। সবচেয়ে বড় প্রয়োজন নিজে সচেতন হওয়া, আর সেটাইতো হচ্ছে না। তাই আইনের চোখ ফাঁকি দিতে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কোটালী গ্রামের আজাদ আলীর মেয়ে নবম শ্রেণির স্কুল ছাত্রী আফিফা খাতুনকে গোপনে জোর করে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। বাল্যবিবাহ প্রদানকারী আজাদ আলী চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের কোটালী পাড়ার মৃত আতিয়ার রহমানের ছেলে।এবিষয়ে জানতে এদিকে নিম্নস্বক্ষরকারী অভিযোগ দায়ের শিহাব উদ্দিন প্রতিবেদকে জানায়, আমার ভাতিজি মোছা: আফিফা খাতুন (১৫)। কোটালী হাইস্কুলের নবম শ্রেণিতে পড়ে আমার ভাই- ভাবি সকলকে গোপন রেখে তাঁর কন্যাকে নানা বাড়ীতে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে, নাবালিকা মেয়ের বিবাহ্ দিয়েছে। সেই সাথে মেয়েটার লেখা পড়াও বন্ধ করে দিয়ে মেয়েটার জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। আরো বলেন আমি বাল্যবিবাহ কথা বলার সাথে সাথে আমার ভাই আমাকে কুভাসায় গালিগালাজ করতে থাকে আর বলে আমার মেয়েকে আমি বিয়ে দিয়েছি তাতে তোর কি তোর যদি কিছু করার থাকলে করে নিস।
এ বিষয়ে জানতে আজাদ আলীর বাড়ি গেলে তাকে বাড়ি পাওয়া যায়নি তবে তার বর্তমানে স্ত্রী সাথে কথা বললে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন তিনি প্রতিবেদকে জানান আমার মেয়ে প্রেম করে বিয়ে করেছে আমরা কিছুই জানিনা। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলার উপ পরিচালক মহিলা বিষয় অধিদপ্তর মোছাঃ মাকসুরা জান্নাত এর সাথে কথা বললে তিনি জানান অভিযোগ পাওয়া গেছে আমরা বাল্যবিবাহ প্রদানকারীর বাড়িতে গিয়ে তদন্ত করে এসেছি বাল্যবিবাহ ঘটনা সত্য সত্যতা স্বীকার করে বলেন ডিসি স্যার বরাবর তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছি অভিযুক্ত কারি মা-বাবা-সহ কাজীকে আইনের আওতায় এনে শাস্তিরমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।এ বিষয়ে জানতে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাদিকুল রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জানান বাল্যবিবাহ প্রদানকারী বিরুদ্ধে যথাযথ কঠোর আইনগত ব্যাবস্থা নিতে দর্শনাথানাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। বিষয়টি জানতে স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে অনেকে নাম না প্রকাশ করার শর্ত বলেন আজাদ আলী মামলাবাজ একজন মানুষ তার বিরুদ্ধে কেউ টু শব্দ করলেই তাকে মামলার জালে ফাসিয়ে দেবে। তার ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারে না। বাল্যবিবাহ প্রদানকারী বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দাবী করেছে এলাকাবাসী সচেতন মহল। যাহাতে করে কোন ব্যক্তি আগামীতে আর কেউ এরকম কাজ করার সাহস না পাই।