বায়জিদ হোসেন
মংলা প্রতিনিধি
‘রাজনৈতিক জীবনে কোনদিন ঘেরবাড়ি লুট করিনি, কোনদিন মাস্তান পুষিনি’। এই দিন দিন নয়, সামনে আরও দিন আছে। দলের যারা ক্ষতি করেছেন তাদের বয়কট করবেন। এমন মন্তব্য করেছেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মোংলা-রামপাল আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক।
শনিবার (১২ মার্চ) বেলা ১১ টায় মোংলায় স্থানীয় আ’লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক কর্মি সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন। তবে এই মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে নতুন জল্পনার। দলের স্থানীয় বিদ্রোহী নাকি প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি এই কথা বলেছে। দীর্ঘ প্রায় এক বছর পর তিনি মোংলায় আসেন। প্রিয় নেতাকে কাছে পেয়ে উচ্ছাস্বিত নেতাকর্মিরা। পরে নেতাকর্মিদের সাথে কুশল বিনিময় শেষে কর্মীসভায় যোগ দেন তিনি।
মোংলা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি সুনিল কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, অসুস্থতার কারণে দীর্ঘ এক বছর আপনাদের সময় দিতে পারিনি। এখন হয়ে সুস্থ হয়ে আপনাদের মাঝে এসেছি। নতুন করে কার্যক্রম শুরু করতে হবে। ২০২৩ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে দলীয় সকল পর্যায়ের নেতাকর্মিদের শক্তিশালী করতে হবে। কারণ প্রতিপক্ষ জামায়াত-বিএনপিসহ অন্যান্য কিছু দল গোপনে এক হয়ে গেছে। তারা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাধাগ্রস্থ করছেন।
এসময় দলের স্থানীয় নেতাকর্মিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ১৯৯১ সাল থেকে এই পর্যন্ত মোংলা-রামপাল আসন আ’লীগের দখলে। এই আসন ধরে রাখতে দলের মধ্যে দ্বিধাদন্দ রাখবেন না, সবাই এক হয়ে কাজ করবেন। কোন নেতাকে আমি একা বানাইনি, তৃনমূলের মতামত নিয়ে নেতা বানিয়েছি। রাজনৈতিক জীবনে কোনদিন ঘেরবাড়ি লুট করিনি, কোনদিন মাস্তান পুষিনি। এখন অনেক কথা শুনি। সামনে এসে কথা বলার সহস হয়নি কোনদিন, এখন সেসব লোক এসব কথা বলেন। বেশি বারাবাড়ি ভালোনা, অনেক বেড়েছেন এখন থেমে যান। দলের যে ক্ষতি করতে চান তাদোর বলতে চাই এই দিন দিন নয় সামনে আরও দিন আছে বলেও হুশিয়ারী দেন খুলনা মহানগর আ’লীগের এই সভাপতি। বিগত দিনে যারা দলের সাথে বেঈমানি করেছেন তাদের সাথে কোনও আপস হবেনা বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময় আরও বক্তৃতা দেন ছিলেন-স্থানীয় সাংসদ ও বন,পরিবেশ জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী খুলনা সিটি মেয়র খালেক পত্নী বেগম হাবিবুন নাহার, উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, পৌর মেয়র ও পৌর আ’লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ প্রমুখ নেতাকর্মীরা।