সক্রিয় প্রতারক চক্র, প্রতারণার কারিগর বিকাশ এজেন্ট
দিনাজপুরে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে বিকাশ প্রতারক চক্র।
মোঃ মোস্তফা কামাল আপন ব্যুরোপ্রধান রংপুর ডিভিশন
সম্প্রতি দিনাজপুর জেলার সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি বিকাশ প্রতারণার ঘটনা ঘটে। দিনাজপুর জেলার কসবা সেন্ট ভিনসেন্ট নার্সিং ইনষ্টিটিউট-এর হিসাব রক রোজলিন মিনি হাসদা গত ১৯ জানুয়ারি’২১ রাত আনুমানিক ৮টার সময় প্রতারণার শিার হয়। তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠানের হিসাব রক হওয়ায় তার বিকাশ নম্বরে শিার্থীদের বিভিন্ন ফি’র টাকা লেনদেন হতো। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৯ জানুয়ারি’২১ দিনাজপুর সদর উপজেলার ৮নং শংকরপুর ইউ,পি’র লতিলা নামক স্থানে আব্দুস সালামের বিকাশের দোকান থেকে তার নম্বরে ২ হাজার ৫শত টাকা পাঠায় নার্সিং ইনষ্টিটিউট এর শিার্থী সুশীলা হাসদার পিতা। কিন্তু বিকাশ এজেন্ট আব্দুস সালাম তার সহযোগিদের মাধ্যমে অন্য নম্বর থেকে রোজলিন মিনি হাসদাকে কল করে বলে আপনার পিন নম্বরে সমস্যা থাকায় টাকা যাচ্ছে না। কিছুণের মধ্যে আপনাকে অন্য নম্বর থেকে কল দেয়া হলে তা রিসিভ করে প্রয়োজনীয় তথ্য দিলে আপনার লেনদেন সম্পন্ন হবে। এই মধ্যে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসলে সরল বিশ্বাসে রোজলিন হাসদা সেই কলটি রিসিভ করলে তার একাউন্ট থেকে ১ ঘণ্টার ব্যবধানে পর্যায়ক্রমে ০১৭৯৬৭৫৯৮৬৭ নম্বরে ১১ হাজার ৬শত ৯২ টাকা মাত্র ৩ মিনিট পরে ঐ নম্বরে আবার ১৩ হাজার ৩শত টাকা। অতঃপর ০১৭০৮৫২৯১০৫ নম্বরে ৭ হাজার টাকা এবং ০১৬৪৮১৪৭৪৮৪ নম্বরে ৩ হাজার ৯শত টাকা সহকারে সর্বমোট ৩৫ হাজার ৮শত ৯২ টাকা কৌশলে হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্র। এ বিষয়ে বিকাশ এজেন্ট আব্দুস সালামের কথা বললে তিনি তা অস্বীকার করেন এবং বলেন, আমিও এ ধরনের অভিযোগ পেয়েছি। বিকাশ এজেন্ট আব্দুস সালামকে প্রতারক চক্রের বিষয়ে কথা বললে তিনি বলেন, আমার দোকানে সবসময় লোকজন থাকে কার মনে কী আছে আমি কী করে বলব? প্রতারক চক্ররা আপনার দোকানে লেনদেনকৃত নম্বর কিভাবে পাচ্ছে ও গ্রাহকদের নিরাপত্তায় আপনি কি ব্যবস্থা নিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের সাথে উগ্র আচরণ করেন। তিনি প্রতারক চক্রের সাথে জড়িত কিনা জানতে চাইলে আর কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজী হননি এবং তিনি বলেন, কি হবে দেখা যাবে এরকম অহরহ ঘটনা ঘটছেই। এ ব্যাপারে সেন্ট ভিনসেন্ট নার্সিং ইনষ্টিটিউট এর হিসাবরক রোজলিন মিনি হাসদা কোতয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে যার নম্বর জিডি নং-১০৮৩, তাং-২০/১/২০২১ইং। সাধারণ মানুষ যাতে এ প্রতারক চক্রের খপ্পরে না পড়ে সর্বশান্ত না হয় সেজন্য উর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তপে কামনা করছেন দিনাজপুরবাসী।