দিনাজপুরে কাউন্সিলর প্রার্থীর ওপর হামলা
মো: জাহানুর ইসলাম (দিনাজপুর জেলা) প্রতিনিধি:
দিনাজপুর পৌরসভা নির্বাচনে প্রচারণা শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়েছেন কাউন্সিলর প্রার্থী আশরাফুল আলম। দুর্বৃত্তরা তাঁর বাঁ হাত ও বাঁ পা ভেঙে দিয়েছে।
তিনি বর্তমানে দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকাল সোমবার রাত ১২টায় দিনাজপুর শহরের কসবা এলাকার আলামিয়া মসজিদের পাশে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা যুবলীগ কর্মী মো. মুন্নাও (২২) হামলার শিকার হয়েছেন। মুন্না শহরের কসবা এলাকার বাদল হোসেনের ছেলে। হামলায় আহত কাউন্সিলর প্রার্থী আশরাফুল আলম রমজান দিনাজপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর। তৃতীয়বারের মতো তিনি কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি আওয়ামী যুবলীগ দিনাজপুর শহর শাখার সভাপতির পদে আছেন।কাউন্সিলর আশরাফুল আলমের ওপর হামলার প্রতিবাদে জেলা যুবলীগের নেতা–কর্মীরা মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় শহরের বাসুনিয়াপট্টিস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে প্রতিবাদ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে যুবলীগের নেতারা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানান।কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নবী নেওয়াজ, মোয়াজ্জেম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আল সাইফুল, কেন্দ্রীয় সদস্য মাকসুদুর রহমান, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হেলালউদ্দিন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তারিকুন লাবুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দুর্বৃত্তদের হামলায় আশরাফুলের বাঁ হাত ও বাঁ পা ভেঙে গেছে। এ ছাড়া মাথা ও শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করা হয়েছে। যুবলীগ কর্মী মুন্নার মাথায় ১০টি সেলাই ও বাঁ হাতে ২টি সেলাই পড়েছে।আশরাফুল আলম বলেন, রাতে প্রচারণা শেষে তিনি এক কর্মীর বাসায় যান। সেখান থেকে ফেরত আসার সময় কসবা আলামিয়া মসজিদের পাশে ছয়জন হামলা করে। দুর্বৃত্তরা লোহার রড ও হাঁসুয়া দিয়ে প্রথমে তাঁর ওপর হামলা করে। এ সময় তাঁকে রক্ষা করতে এলে মুন্নাকে দুর্বৃত্তরা হাঁসুয়া দিয়ে কোপ দেয়। চিৎকারে আশপাশের কয়েকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তারা মাংকি টুপি ও মাস্ক পরে ছিল।আশরাফুল আলম বলেন, সম্প্রতি কসবা আলামিয়া গোরস্থান কমিটির নির্বাচনে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন। এ ছাড়া টানা তৃতীয়বারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচন করছেন। এই কারণে প্রতিপক্ষরা তার ওপর হামলা করতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান বলেন, হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তবে হামলার খবর পেয়ে রাত থেকেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। তাঁরা অভিযোগ দিলে তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।