মোঃ ফেরদৌস মোল্লা পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
আজ থেকে সারা দেশে একযোগে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হল । দীর্ঘ ৫৪৪ দিন পরে স্কুলে ফিরেছেন শিক্ষার্থীরা ।শিক্ষার্থীদের পদচারনায় প্রান ফিরে পেয়েছে যেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো । প্রায় দেড় বছর পরে আবার খুলেছে স্কুল, সকাল থেকেই হৈচৈই মুখোরিত স্কুল প্রাঙ্গণ ।অনেকদিন পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরতে পারায় আনন্দ উত্তেজনা বিরাজ করছে প্রতিটি শিক্ষার্থীদের মাঝে ।তাছাড়া দেশের বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নানা আয়োজনে শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরন করে নিয়েছেন।শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলায় ,শিক্ষক,অভিভাবকেরা বেশ খুশি। তারা বলছেন দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্টানগুলো বন্ধ থাকার কারনে ছেলেমেয়েকে নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় কাটিয়েছি । এখন প্রতিষ্ঠান গুলো খোলায় দুশ্চিন্তার অবসান হলো ।এছাড়া কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির নির্দেশ ক্রমে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই স্বাস্থ্যবিধিমালা অবলম্বন করেছেন ।তবে দেশের সচেতন ব্যাক্তিরা মনে করেন খুলে দেয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যাতে আর বন্ধ না হয় এর জন্য প্রতিটা শিক্ষার্থী ,অভিভাবক শিক্ষক,জনপ্রতিনিধি সকলে মিলেই একটা বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাহলো সব শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। মাস্ক পরা ,হাত ধোয়া এবং নির্দিষ্ট দুরত্ব বজায় রেখে নিয়মিত ক্লাস পরিচালনা করা । তবেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে করোনার ঝুঁকি কমিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়ে উঠবে বলে মনে করেন তারা।এছাড়া অভিভাবকেরা মন্তব্য করেন আমাদেরকে একটা বিষয়ে মনে রাখতে হবে বর্তমানে কভিড-১৯ এর সংক্রমন কমেছে কিছুটা কিন্তু একদম চলে যায়নি ।আমাদের বাচ্চারা যাতে কোনভাবেই কভিড-১৯ এ আক্রান্ত না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে সবার । এদিকে এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বৈশ্বিক সংকটের শুরু থেকে আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত না করে, স্বাস্থ্যসুরক্ষার বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে যেন কাজ করা হয় তার পূর্ন নির্দেশ দেন ।আমরা এখন পর্যন্ত সেটাই করছি। শিক্ষার্থীরা যেন পড়াশোনায় পিছিয়ে না পড়ে, এ জন্য নানা পদ্ধতি অবলম্বন করেছি। সংক্রমণের হার ক্রমেই নিচে নেমে আসছে, এটা আমাদের জন্য সুখবর। এই নিম্নগতি থাকলে খুব শিগগিরই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেয়া সম্ভব হবে।
আমাদের শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীর সংখ্যা পৃথিবীর যে কোনো দেশের তুলনায় বেশি। কারণ এ অসুখে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। সবাই শুরু থেকেই সপ্তাহে ৬ দিন হয়তো ক্লাস করার সুযোগ পাবে না। একটু সময় নিয়ে হবে সেটা।
করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকবার চেষ্টা করেও এই মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আর খোলা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও দ্রুত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ও ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পরপরই থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন সংশ্লিষ্টরা।তারিই ধারাবাহিতায় আজ খোলা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
দীর্ঘবছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা অনেকটা পিছিয়ে পড়লেও সংক্রমনের হাত থেকে বেঁচেছে অনেক শিক্ষার্থী।এটাই আমাদের সাফল্য ,জীবনের থেকে কিছুই বড় নয়। ক্লাস শুরু হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য রইলো শুভকামনা।