বায়জিদ হোসেন, মোংলাঃ
মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান গাজী আকবর হোসেন বলেছেন, এবারের ইউপি নির্বাচনে আমার প্রতি আস্থা রেখে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বী হননি। তাদের আশা আকাঙ্খা পুরণে নির্বাচনী দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাবো। আমি বিগত দিনের ন্যায় স্বচ্ছতা নিয়ে কাজ করতে চাই এবং দৃশ্যমান উন্নয়নের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদকে মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এক সাক্ষাতকারে এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি বলন, আপনারা জানেন বর্তমান করোনার ভয়াবহতা চলছে, প্রতিদিন আক্রমন ও মৃত্যুর সংখ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, যেটা আমাদের জন্য একটা দুঃসংবাদ। আমরা ইতিমধ্যে আমার ইউনিয়নে মেম্বার ও সকল গ্রাম পুলিশ দের নির্দেশনা দিয়ে মাক্স পরিধান সহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচলের। দীর্ঘ ৫ বছর নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে জনগণের পাশে থেকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করেছেন তিনি। এবার প্রথম তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বলেন, ইউনিয়নের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতেই আমার প্রতি আস্থা রেখে কেউ আমার প্রতিদ্বন্দ্বী হননি। তাদের আশা আকাক্ষা পুরণে নির্বাচনী দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাবো। গাজী আকবর হোসেন বলেন, আমি বিগত দিনের ন্যায় স্বচ্ছতা নিয়ে কাজ করতে চাই এবং দৃশ্যমান উন্নয়নের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদকে মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনায় আমার নানাবিধ পরিকল্পনা রয়েছে। তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে পরিষদের সদস্যদের সাথে সমন্বয় করে ইউনিয়নের জনগণের চাহিদা মোতাবেক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। এখানকার বেশিরভাগ মানুষ কৃষি ও মৎস নির্ভর, কারণ আপরারা জানেন এটা সুন্দরবনের কোল ঘেষা একটি ইউনিয়ন। বর্তমানে ইউনিয়নের প্রধান সমস্যা যোগাযোগ ব্যবস্থা। যে কারণে কৃষক তার উৎপাদিত ফসলের ন্যয্য মূল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমি বিগত দিনে যোগাযোগ ব্যবস্থার যে সমস্যা রয়েছে তা সমাধান করার চেষ্টা করেছি এবং নতুন পরিকল্পনায় পরিপূর্ণ সমাধান হবে বলে আশা করি। আপনারা জানেন, আমাদের সমাজে বাল্য বিয়ে একটি সামাজিক সমস্যা। যা রোধ করা খুবই দুষ্কর। তারপরও আমি আমার ইউনিয়নকে ১০০ ভাগ বাল্য বিয়ে মুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এবং আগামী দিনেও তা অব্যাহত থাকবে। তাছাড়া শিক্ষা সম্প্রসারণে আমার নানাবিধ পরিকল্পনা রয়েছে। বিগত সময়েও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকারি সহায়তার পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে শিশুদের জন্য খেলাধুলা সামগ্রী এবং টিফিন বাটি দেওয়া হয়েছে। দুরের শিক্ষার্থীদের জন্য বাইসাইকেল এবং গরীব মেধাবীদের বই কিনে দিয়েছি। চেয়ারম্যান গাজী আকবর হোসেন বলেন, সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য আমার পরিকল্পনা হলো এলাকার এনজিওদের অপতৎপরতা বন্ধ করার মাধ্যমে এবং জনগণকে বোঝানোর মাধ্যমে ঋণ নেয়া থেকে অনুৎসাহিত করা ও ঋণমুক্ত ইউনিয়ন গড়ে তোলা। পাশাপাশি সামাজিক অবক্ষয় রোধে বিভিন্ন সভা, সংস্কৃতি অনুষ্ঠান, খেলাধুলা এবং নৈতিক জ্ঞানের মাধ্যমে শিক্ষা দেয়ার চেষ্টা করব। ইউনিয়নবাসীর কাছে আমার প্রত্যাশা হলো সকল ধরনের রাজনৈতিক কলহ থেকে দুরে থাকার মাধ্যমে সরকারি নিয়ম কানুন মেনে চলাসহ সর্বস্তরের জনগনের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করা। আইন-শৃংখলার মাধ্যমে চোরাচালান দমন করা হবে এবং মাদক নিয়ন্ত্রণে ইউনিয়ন জিরো পয়েন্টে আছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। গাজী আকবর হোসেন বলেন, স্যানিটেশন ব্যবস্থার প্রসার ঘটানোর চিন্তা অবশ্যই আমার আছে। বিগত দিনে ইউনিয়নের ২ টি
বাজারে গণসৌচাগার করা হবে এবং বাকি বাজার সংস্কার করা হবে। এবার মাঠেও গণসৌচাগার সহ সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হবে। জনযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে অগ্রধিকার ভিত্তিক কর্মসূচি নেয়া হবে ইউনিয়নের নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে। তাদের সমন্বয়ে ইউনিয়নবাসীকে উন্নত সেবা প্রদানের মাধ্যমে মডেল ইউনিয়ন উপহার দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। মৎস নির্ভর সুন্দরবন ইউনিয়ন মডেল ইউনিয়ন হিসেবে আছে এবং এটা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করব। এই ইউনিয়ন মৎস খাতের খাত অনেক উন্নত। তাই মৎস খাতকে বেশি গুরুত্ব দেয়াই হবে আমার মুল লক্ষ্য।
Leave a Reply