কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত স্পা সেন্টার গুলোর অবৈধ কর্মকাণ্ড। যেখানে প্রতিনিয়ত চলছে স্পা বা বডি মেসেজ এর নামে দেহ ব্যবসা। সম্প্রতি গুলশানে এমন দুইটি স্পা সেন্টারের নাম উঠে এসেছে, যারা অজানা ক্ষমতাবলে চালিয়ে যাচ্ছে অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে পতিতাবৃত্তি সহ অসামাজিক কার্যকলাপ।
গুলশান ১ নাম্বার জব্বার টাওয়ারে এছাড়াও গুলশান ২ এর আরো একটিতে চালিয়ে যাচ্ছে অবাধে এই দেহ ব্যবসা গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এই দুইটি স্পা সেন্টারের সম্পর্কে জানা যায়, বডি মেসেজের নাম করে স্কুল-কলেজ ও ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া মেয়ে সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন বয়সী নারীদের একত্রিত করে দেহ ব্যবসা পরিচালনা, যৌন শোষণ, নিপীড়নমূলক কাজ করা হয়।
যার মূল উদ্দেশ্য থাকে গ্রাহকের সাথে যৌন সম্পর্কে সৃষ্টির মাধ্যমে টাকা উপার্জন করা। এমনকি স্পা সেন্টার গুলোতে থাকে মাদকের ব্যবস্থা। যেখানে বিভিন্ন পর্যায়ের পুরুষ গ্রাহকরা খুব সহজেই টাকার বিনিময়ে পেয়ে যায় মাদকের নিরাপদ আখড়া। যা কিনা সামাজিক অবক্ষয়ের অন্যতম কারণ। এ বিষয়ে মুঠোফোনে তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন, আমাদের সব বৈধতার কাগজ আছে। আমরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করি, এবং নিয়মিত মাসোহারা দেই।
কিন্তু সরোজমিনে দৈনিক বিজয়ের বানী প্রতিবেদক তথ্য সংগ্রহের জন্য ঐ দুইটি স্পা সেন্টারে গেলে একটি স্পা সেন্টার সমঝোতা করার কথা বলে, এছাড়া স্পা' নামক সেন্টারের মালিক হাঁসি কোন প্রকার তথ্য দিতে অস্বীকার এছাড়া সেখানে থাকা ম্যানেজার প্রতিবেদককে হুমকি দেয়। এবং স্পা সেন্টার থেকে জোরপূর্বক বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে।
এই বিষয়ে গুলশান থানার ওসি বি এম ফরমাল আলী বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত এই ধরনের অবৈধ প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি এবং কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মামলাও দিয়েছ। তাছাড়া এই ধরনের অবৈধ ব্যবসা কাউকে চালাতে দেওয়া হবে না।