মোঃ শামিম আহমদ কবির
দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রতিনিধি
প্রতি বছরেই ঘুরে আসে ঈদ।ঈদকে পুজি করে আয়োজনের যেন কমতি থাকেনা। চারিদিকে ঈদের আমেজ আর কেনাকাটায় ব্যস্ততার অন্ত নেই মানুষজনের।
সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার পূর্ব বাংলাবাজারে করোনাকে কোন রকম তোয়াক্কা না করেই ঈদের শপিং, মানতেই নারাজ স্বাস্থ্যবিধি।
করোনার প্রাদুর্ভাব থাকায় সরকারী বিধিনিষেধ আর স্বাস্থ্যবিধির জন্য টানা শাটডাউন ঘোষণা কর হয়।গত (১৪বৃহস্পতিবার) শাটডাউন স্থগিত হতেই ঘরবন্দী মানুষ গুলো একযুগে বেড়িয়ে পরে ঈদের কেনাকাটায়।
ঈদের কেনাকাটার উৎসব পড়েছে প্রতিটি শপিংমলে। করোনায় সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিকে ডিনয় করেই শপিংয়ে ব্যস্ত মানুষজন। তোয়াক্কা করছেন না স্বাস্থ্যবিধি ক্রেতা ও বিক্রেতারা।যদিও স্বাস্থ্যবিধি মানতে সরকারি নির্দেশনা রয়েছে।
ঈদকে কেন্দ্র করে মা-বাব ভাই, বোন, পরিবার-পরিজন, আআত্নীয় স্বজন্দের জন্য নতুন জামা-কাপড় কিনতে ভারী বৃষ্টি, রোদকে উপেক্ষা করে ক্রেতাদের জোয়ার নেমেছে বাংলাবাজারের ভিবিন্ন শপিংমল গুলোতে।
শুধু শপিংমলে নয়, মুদি দোকান, কামার পট্টি,চা দোকান,টুপি দোকান,আতর মল, ফুটপাত,বাজারের সব দোকানেই উপচেপড়া ভিড়।
(১৯সোমবার) বাজারের নূর কালার ফ্যাশন, হাবিবা গার্মেন্টস,লাকী ফ্যাশন, বিসমিল্লাহ গার্মেন্টস, মুদি দোকান, চা দোকান, কামার পট্টিসহ বিভিন্ন দোকানেই ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় অতি মাত্রায় দেখা গিয়েছে।
হাবিবা গার্মেন্টসের মালিক আব্দুল কাদির বলেন,করোনায় ব্যবসায় ধস নেমেছিল। বিগত ক,মাস বাড়ি থেকে টাকা এনে দোকান ভাড়া দিতে হতো। ঈদ সামনে রেখে শাটডাউন স্থগিত করায় বিক্রি বেড়েছে পুরোদমে। আজও (১৯সোমবার) ক্রেতাদের চাপে দম ফেলার সুযোগ নেই তাদের।
নূর কালার ফ্যাশন মালিক নূরনবী নেওয়াজ বলেন, কুরবানির ঈদ ঘিরে শপিংমলে মানুষের কমতি নেই।মানুষ প্রতি ঈদের মতো হুমড়ি খেয়ে পড়ছে কেনাকাটায়।