মোঃ শামিম আহমদ কবির: দোয়ারাবাজার প্রতিনিধিঃ
মহামারী করোনার প্রাদোর্ভাব রোধে সরকারের দেওয়া চলমান লকডাউনে পশু বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার পশু খামারিরা। অন্যান্য বছর আরো আগে থেকে খামারে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেলেও এবছর লকডউনের কারণে ক্রেতা তুলনামূলক কম।
এবার কুরবানির পশুর হাটের অনুমতি নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা থাকায় উদ্বিগ্ন উপজেলার ছোট-বড় খামারিরা। লকডাউনে পশুখাদ্যের দাম বাড়ায় বিক্রি করতে যত দেরি হবে ততই ব্যয় বাড়বে খামারিদের
উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের পালকাপন গ্রামের বাসিন্দা পশু খামারি নুর মোহাম্মদ এর সাথে কথা বলে জানাযায়, জাত ও আকার ভেদে একেকটি গরুকে প্রতিদিন ৩০০ -৪০০ টাকার দানাদার খাবার দিতে হয়। এছাড়া ঘাস, খড়, বিদ্যুৎ বিল ও শ্রমিক খরচ মিলিয়ে বছরে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করতে হয় খামারিতে। অন্যান্য বছর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গবাদি পশুর চাহিদা থাকলেও এবার এসবে নিষেধাজ্ঞা থাকায় তা আর হয়ে উঠেনি।
তাছাড়া লকডাউন থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে আসতে পারছেন না ক্রেতারা। হাট বসবে নাকি খামার থেকে পশু কিনবেন এ নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যেও সিদ্ধান্তহীনতা রয়েছে বলে তারা মনে করছেন। এমতা অবস্থায় খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি খামারিরা পুঁজি হারানোর আশঙ্কায় ও রয়েছেন। তাদের আশা, এখনো গবাদি পশুর অস্থায়ী হাটের অনুমতি দিলে বড় ক্ষতি থেকে বাঁচা যাবে।
ঈদকে সামনে রেখে গরুগুলো বিক্রি করতে না পারলে বড় লোকসানে পরতে হবে। ঈদের আগে অন্তত ৭ দিন লকডাউন তুলে দিয়ে হাটের অনুমতি দিলে গরুগুলো বিক্রি করে দিতে পারবেন বলে আশা করেন তিনি।
উপজেলা প্রানী কর্মকতা ডাঃ মোঃ আব্দুল তাহির জানান, দোয়ারাবাজার উপজেলায় ১২৮ টি খামারে(২১৫১-টি গরু ও ১৭৪৭ টি ছাগল) রয়েছে। লাকডাউনের কারনে হাট বাজার বন্ধ থাকায় উপজেলা প্রানী অফিসের তত্বাবধানে খুলা হয়েছে অনলাইন পশুর হাট।
আমরা অনলাইনে ও ফেসবুকে গবাদি পশুর ছবি ও বিস্তারিত তথ্য প্রচার করে খামারিদের সহযোগিতা করতে চেষ্টা করে যাচ্ছি।
এছাড়াও উপজেলার সব কয়টি খামারির নাম ও মালিকের মোবাইল নাম্বার সহ দেওয়া আছে অনলাইনে। যাতে করে ক্রেতারা খুবি সহজে পশুর সন্ধান পেতে পারে। লক্ষ্য করা গেছে এই মুহুর্তে উপজেলায় অনলাইনে পশু বিক্রয় ব্যাপক সাড়া পেয়েছে। প্রতিদিন বিভিন্ন ক্রেতারা আসছে গরুর সন্ধানে। জেলার একটি পেইজ থেকে প্রতিনিয়তো মন্ত্রনালয়ে যাচ্ছে উপজেলার অনলাইন পশুর হাটের দৈনদিন ক্রয়বিক্রয়ের খবর।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাংশু কুমার সিংহ বলেন, পশু বিক্রি করার কোনো অনুমোদন নেই। কেউ হাটে গরু নিয়ে আসলেও জরিমানা গুণতে হচ্ছে তাদের । এখনও পর্যন্ত আমরা কোন নির্দেশনা পায়নি, নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply