সোহেল মিয়া,দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ):
সপ্তাহের ব্যবধানে আবারো পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার নদনদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটারের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গতকাল সন্ধ্যা থেকে ভারি বর্ষণ ও মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দোয়ারাবাজার ফের বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে নদ নদীর পানি। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আতঙ্কে কাটাচ্ছেন উপজেলার সুরমা, লক্ষীপুর, বগুলা, বাংলাবাজার, নরসিংপুর ও দোয়ারা সদর ইউনিয়নের মানুষজন।
সরনকালের ভয়াবহ বন্যার পানি এখনো সরেনি নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘরের আঙিনা ও রাস্তাঘাট থেকে। তবুও থামেনি প্রাকৃতিক দূর্যোগের আগ্রাসনি থাবা। সপ্তাহের ব্যবধানে উজানের পানিতে আবারো নদীনালা, খালবিল, হাওর-বাওর, মাঠঘাট ও জল-স্থল একাকার হয়ে পড়ছে সীমান্তবর্তী এই উপজেলার । এতে দুংশ্চিন্তায় উপজেলার মানুষজন।
বিগত বন্যায় নিম্নাঞ্চলের অনেক টিউবওয়েল পানিতে ডুবে যাওয়াসহ স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের উপসর্গ এখনো পুরোদমে নির্মুল হয়নি। বিভিন্ন কাঁচা-পাকা সড়ক আবারও নানা স্থানে তলিয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮জুন) সকালে ভারত থেকে আসা পানি ও বৃষ্টির কারনে উপজেলার খাসিয়ামারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিগত বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধ দিয়ে সুরমা, লক্ষীপুর ইউনিয়নে পানি প্রবেশ করে গ্রামীন রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। নরসিংপুর ইউনিয়নের বিরেন্দ্রনগর, সিরাজপুর,সারপিন নগর,শ্যামরগাঁও, মন্তাজনগরসহ কয়েকটি নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট ইতিমধ্যে তলিয়ে গেছে।
সুরমা ইউনিয়নের জিরাগাঁও, কালাইউরা, এরুয়াখাই, সুলতানপুর এবং তিলুরাসহ কয়েকটি গ্রামের লোকজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। চেলানদী ও সুরমার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আতষ্কে দিনপার করছে দোয়ারাবাজার উপজেলাবাসী।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহি অফিসার (ইউএনও) ফারজানা প্রিয়াঙ্কা জানান, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার নদনদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। উপজেলার ১৪ টি আশ্রয়কেন্দ্রের প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখাসহ বন্যাদুর্গতদের মাঝে খাবার বিতরনের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে উপজেলা প্রশাসন।
তিনি আরও জানান,উপজেলার সকল জনপ্রতিনিধিদেরকে আগাম প্রস্তুত থাকার জন্য বলা হয়েছে।
Leave a Reply