শামিম আহমদ কবির
দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রতিনিধি
কোরবানির ঈদকে ঘিরেই উপচেপড়া ব্যস্ততা বেড়ে গেছে দোয়ারাবাজারে কামারপট্টি কর্মজীবী মানুষগুলোর।যদিও শাটডাউনে কাটছিলো তাদের কর্মহীন জীবন।তবে এবারের চিত্র একটু ভিন্ন। কর্মব্যস্ততা , তুলনামূলক অন্যান্য বছরের চাইতে একটু বেশি।ক্রেতাদের চাহিদামতো হরেক রকমের কাস্তে, দা, বটি, ছুরি, চাপাতি খুব সুলভ মূল্যেই ক্রয় করতে পারছেন ক্রেতারা ।শনিবার (১৭ জুলাই) সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের পু্র্ব বাংলাবাজার কামারপট্টি ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
অন্য বছরের চাইতে, কয়লা পোড়া,পানিতে লোহা, হাতুড়ির আঘাতে তৈরি দৈনন্দিন জীবনে কাজে ব্যবহৃত দ্রব্য সামগ্রী, কাস্তে, দা, বটি, ছুরি, চাপাতিসহ ধারালো সব যন্ত্রপাতি অধিক নজর কাড়ে। কুরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে এ যেন কামার শিল্পীদের এক মহা উৎসব। হই হাঙ্গামা, হাতুড়ির টুংটাং শব্দ আর জলকলরবে কাটছে তাদের সকাল সন্ধ্যা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইব্রাহিম নামে কামার বলেন, কোরবানীর ঈদ সামনে রেখে পুরোদমে বিক্রি হচ্ছে। যা অন্য বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। করোনা কালে এ বিক্রি আসলে অসামান্য নয় বলে তিনি জানায়।তিনি আরও বলেন, ব্যবসাটা আসলে অনেকটাই কোরবানির সঙ্গে সম্পৃক্ত।ব্যবসা নিয়ে এবার করোনার জন্য কিছুটা শঙ্কিত থাকলেও ঈদ যত সামনে আসছে আমাদের বিক্রিও নিত্য তুলনায় বাড়ছে।
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বছরের এ সময় লোহার যন্ত্রগুলোর চাহিদা বেশি থাকায়,কামাররা উপার্জনও করতেছেন অকল্পনীয়। তবে করোনার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে তাদের বিক্রি আরও বেশি হবে বলে আশাবাদী আরেক কামার জসিম ।
তিনি আরো বলেন, প্রতি বছর এই সময় কাজের চাপে দম ফালানোর সময় থাকে না। কিন্তু এবার আরও বেশি ব্যস্ততায় পাড় করছি সয়য়। কয়েক দিন পর ঈদ। এই বার পুরোদমে জমে উঠেছে দা-বঁটি, রামদা ছুরিসহ কুরবানি প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। সারাদিনে অবসর নেই। অন্য সময় যেসব পণ্য ৩০০ টাকায় বিক্রি করেছি এখন তা৫০০ টাকাতেও ক্রেতার অভাব নেই।
কামার রফিকুল ইসলাম বলেন, বছরের এই ঈদ মৌসুমই সারা বছরের মূল টার্গেট। আল্লাহর মেহেরবানীতে পরিস্থিতি যেমনি হোক আমাদের বাৎসরিক টার্গেট এ কদিনে ফিলাপ হয়ে গেছে।
তবে অধিক মুনাফার আশায় এখনো দা,ছুরি, রামদা বটিদা, পশরা সাজিয়ে বসেছেন বাংলাবাজারের কামারপট্টির এই ব্যবসায়ীরা।
Leave a Reply