কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর রঘুনাথপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিজ উদ্দিন (৭০) এর পরিবারের লোকজন প্রতিবেশী মাদার মন্ডলের ছেলে আখি আলী ও তোফাজ্জেল হোসেন এর পরিবারের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে শারিরীক ও মানসিকভাবে অত্যাচার চালিয়ে আসছে। তাদের অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার দৌলতপুর নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধানে গেলে এলাকাবাসী জানান, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটির লোক সংখ্যা কম হওয়াতে প্রতিবেশী পরিবারে লোকজন দীর্ঘদিন যাবৎ নানা ভাবে অত্যাচার করে আসছে। আমরা এলাকাবাসী চাই বিষয়টি সুষ্ঠু ভাবে সমাধান হোক।
এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিজ উদ্দিন জানান, আমার বাড়ির পাশ দিয়ে সরকারী খাস যায়গা আছে যে যায়গাটা দীর্ঘদিন যাবৎ আমার দখলে। আমি কিছু গাছ লাগিয়ে ছিলাম গাছগুলো বড় হলে প্রতিবেশী, আখি ও তার লোকজন শুক্রবার (১৯ মার্চ ২০২১) সকাল ১০ ঘটিকার সময় জোর পূর্বক কেটে নিয়েছে। আমি বাঁধা দিতে গেলে আমি ও আমার ছেলে হত্যার হুমকি দেয়। আমি প্রশাসনের কাছে তদন্ত পূর্বক বিচার দাবি করছি।
এছাড়াও বীরমুক্তিযোদ্ধা রফিজ উদ্দীন জানান, প্রতিবেশীর অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে দৌলতপুর নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করেছেন।
এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা রফিজ উদ্দিনের ছেলে মিলন রেজা জানান, গাছ কাটার ছবি আনতে গেলে আমাকে আখির পরিবারের লোকজন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে যাহা আমি আমার মোবাইভিডিও ধারণ করি।
এ বিষয়ে আখির পরিবারের লোকজনের সাথে যোগাযোগ করলে তারা ক্যামেরায় কোন কথা বলতে চান নাই, বলেন চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান মুকুল অনুমতি দিয়েছে তাই গাছ কেটেছি। আমরা কেন বক্তব্য দিব না দেবেন চেয়ারম্যান।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান মুকুল মুঠোফোনে জানান, মুক্তিযোদ্ধা বাড়ির পাশের যায়গাটি ইউনিয়ন পরিষদের যায়গা সেখানে কোন গাছ কাটার অনুমতি আমি কাউকে দেই নাই এ ব্যপারে আমার কাছে কোন অনুমতি নেওয়া হয় নাই।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ জানান, একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।