সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের বড়ছত্রগাছা গ্রামের গৃহবধূ ফারজানা আক্তার রুমি। পিতাঃ মো ফুল মিয়া। গ্রাম বড়ছত্রগাছা ইউনিয়ন ধাপেরহাট।
মেয়েটির ১ম স্বামী পার্শ্ববর্তী গংগানারায়নপুর গ্রামের বিপুল মিয়া।বিয়ের পর তার বধূ পড়াশোনা করতে চায়। তখন তার স্বামী বিপুল মিয়া তাকে পড়াশোন করায় এবং তাকে (তছলিম উদ্দিন বিদ্যানিকেতন) ভর্তি করে দেয়।বিপুল মিয়া ঢাকায় চাকুরী করার কারণে তাকে বেশি ভাগ সময় ঢাকায় থাকতে হয়।যার করণে তার স্ত্রী তার বাবার বাসায় পড়াশোনা করায়। এর মধ্যে ঐ মেেয় টিকটক সেলিব্রেটি বখাটে সায়েম নামক এক যবকের সাথে পরোকিয়ার সম্পর্কে জরিয়ে পড়ে।
এ দিকে করোনা কালিন সময়ে পরিক্ষা বদলে অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে ছাত্র ছাত্রী দের ফলাফল প্রকাশ করা হইতেছে। ৮ দিন আগে মেয়ে তার অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়া কথাবলে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। তার পর তার আর কোন খোঁজ পাওয়া যায় না।মেয়েটির পিতামাতা ও শ্বশুর ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ২টি নিখোঁজ জিডি করেছিলেন। তার পর পুলিশ এর সহযোগিতায় মেয়েটির খোঁজে পাওয়া যায় নারায়ণগঞ্জ এর বিক্রমপুরে । মুলত পরকিয়ার টানে বাড়ি থেকে পালিয়েছেন। কিন্তু বিয়ের আসরেই পুলিশ তাদের দুজনকেই ধরে ফেলে। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় তাদের আটকে রাখা হয়েছিল বিয়ে না দিয়ে ফতুল্লা থানায় লিখিত জবান বন্দি নিয়ে দুইজনকেই দুজনের অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গত কাল রাতে গাইবান্ধা সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ঐ মেয়ে কে আনা হয় এবং ধাপেরহাট তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ সেরাজুল হক জানান যে ওই মেয়ে টিকটক সেলিব্রিটি বখাটে সায়েম তাকে প্রেমের সম্পর্কে জরিয়ে তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাকে পালিয়ে নিয়ে যায়।
আবশেষ এ ইনচার্জ সেরাজুল হক মেয়েটির জবানবন্দি নিয়ে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।