আর কয়েক ঘণ্টা পর ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের ভারত মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত ঘূর্ণিঝড় ও সাথে বৃষ্টি নিয়ে এগিয়ে আসছে রেমাল। এই ঘূর্ণিঝড় বর্তমানে অবস্তিত রয়েছে তামিলনাড়ুর উপকূল থেকে প্রায় একশত নটিক্যাল মাইল দূরে। এই ঘূর্ণিঝড় তিব্র শক্তি সঞ্চয় করে ধীরে ধীরে ধেয়ে আসছে পশ্চিম বাংলা র বঙ্গোপসাগরে র উপকূল বরাবর এলাকায়। এবং এর প্রভাব বিস্তার করতে পারে পশ্চিম বাংলা সহ উড়িষ্যা এবং ঝাড়খণ্ড ও ভারতের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, খুলনা, বরিশাল এবং বাগেরহাট সহ বঙ্গোপসাগরে উপকূল বরাবর এলাকায়। আগে থেকেই আগাম সতর্কবার্তা বার্তা দিয়েছেন ভারতের আবহাওয়া বিভাগের দিল্লি র মৌসুম ভবন থেকে। সেই সঙ্গে সতর্কবার্তা বার্তা দেওয়া হয়েছে গভীর সমুদ্র বন্দর এলাকায় বসবাসকারী মানুষের এবং ধীবর দের। প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মোকাবেলা বাহিনীর সদস্যদের। এবং নদী বন্দর এলাকায় সমস্তই দোকান ও হোটেল ছাড়তে বলা হয়েছে মালিকদের। ইতিমধ্যেই দিঘা ও তার আশেপাশের এলাকায় অবস্থিত সব হোটেল কে খালি ও বন্ধ করতে বলেছেন স্হানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। এদিকে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ডায়মন্ডহারবার জেলা পুলিশ ও সুন্দর বন জেলা পুলিশ এবং বারুইপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সবধরনের ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে। এই ঘূর্ণিঝড় প্রভাব বিস্তার করবে পশ্চিম বাংলা র বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ জেলার এবং বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন যায়গায়। সেই সঙ্গে পশ্চিম বাংলা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা সহ হাওড়া হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত সব মানুষের জন্য আগাম খবর দেওয়া হয়েছে। এবং গভীর সুন্দর বন জেলা বিভাগের বিভিন্ন যায়গায় নদী বাঁধ এলাকায় সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। তবে এই রেমাল ঘূর্ণিঝড় এর প্রভাব বিস্তার কতটা বিস্তার করবে তা এখনও বলা যাচ্ছেনা। তবে ঘণ্টায় ৪০,কিলো, মিটার বেগে দমকা হাওয়ার সাথে ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।।