মোসফিকা আক্তার , বিশেষ প্রতিনিধি নওগাঁ জেলা:
কুরবানি উপলক্ষ্যে জমে উঠেছে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চকগৌরি পশুর হাট। সপ্তাহের প্রতি রবিবার ও বৃহস্পতিবার এখানে হাট বসে।
উত্তরাঞ্চলের অন্যতম এ হাটে এসে পশু কেনা-বেচা করেন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার ব্যাপারীরা। ছোট-বড় গরুসহ বিভিন্ন পশু নিয়ে হাটে ভিড় জমিয়েছেন স্থানীয় খামারি ও ব্যবসায়ীরা। তবে হাটে পশু বেশি থাকলেও গোখাদ্যসহ দ্রব্যমূল্য বেশি হওয়ায় পশুর দামও বেশ চড়া।
বিক্রেতারা জানান, গোখাদ্যের দাম গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ হওয়ায় গবাদিপশু পালন ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে। দাম বেশি হওয়ায় মাঝারি সাইজের গরুর প্রতি আগ্রহ বেশি ক্রেতাদের।
নওগাঁ থেকে গরু কিনতে আসা ব্যবসায়ী সহিদ হোসেন জানান, প্রতিবছর এই চকগৌরি হাট থেকে গরু কিনে ঈদের আগে ঢাকার ব্যবসায়ীদের পাঠায়। আজ হাটে মানুষের সমাগম, গরুও এসেছে অনেক বেশি। কিন্তু বিক্রেতারা দাম বেশি চাওয়ায় গরু কিনতে পারছি না। হাটে দেশি মাঝারি এবং ছোট আকারের গরুর চাহিদা বেশি। বড় গরু দাম আরও চড়া। এ হাটে ৬০ হাজার থেকে ৭ লাখ টাকা দামের গরুও উঠেছে।
তবে মহাদেবপুরের সুতি থেকে আসা ব্যবসায়ী রহমত হোসেন বলেন, ৭টি গরু নিয়ে হাটে এসেছি। সকালেই দেড় লাখ টাকায় একটি বিক্রি করেছি। ক্রেতা না থাকায় আশানুরূপ দাম পাওয়া যাচ্ছে না। কুরবানির মৌসুম শুরু হলেও তুলনামূলক কম দাম চাচ্ছেন বলেও দাবি করেন এই ব্যবসায়ী।
হাট ইজারাদার মুক্তার হোসেন জানান, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম হয়। হাটে পশুর উপস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঈদের আগে যদিও আমাদের শেষ হাট আজ ক্রেতা বিক্রেতার উপস্থিতি আরো বেশি হওয়া উচিত ছিল তবে তুলনামূলক তেমন উপস্থিতি নেই। আর বাড়তি দামের কারণে বেচা-কেনা একটু কম হচ্ছে।
মহাদেবপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আব্দুল মালেক জানান, উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস থেকে দুটি মেডিকেল টিম রাখা হয়েছে। এছাড়াও প্রয়োজনে যে কোনো সময় খামারি ও ব্যবসায়ীদের সেবার জন্য হটলাইন চালু রয়েছে।