নওগাঁর, মহাদেবপুরে ধানক্ষেত থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
হোসেন বাবু নওগাঁ প্রতিনিধি :
শনিবার (১৫ মে) দুপুরে নওগাঁর মহাদেবপুর থানা পুলিশ একটি ধানখেত থেকে নাছিমা বেগম (৩৮) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে। তিনি উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়নের কাশিবাড়ি কৃষ্ণপুর গ্রামের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কছিম উদ্দিন মন্ডলের স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, নিহত নাছিমা বেগম এক ছেলে ও এক মেয়ের জননী। তার স্বামীর মত ছেলে নাফিত উদ্দিনও (১৮) বুদ্ধি প্রতিবন্ধী।
নিহতের মেয়ে কামরুন্নাহার (১৪) জানায়, তার মা গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি গিয়ে ইসলামী তালিম করতেন। শুক্রবার (১৪ মে) ঈদের দিন সন্ধ্যার পর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তারা মা মেয়ে এক বিছানাতেই ঘুমাতেন। রাত ১০টার পরও তার মা বাড়িতে না আসায় সে চিন্তায় পড়ে যায়। রাতেই মা ফিরে আসবেন এই ভেবে রাতে সে আর খুঁজতে না গিয়ে একাই ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু সকালেও ফিরে না আসলে খোঁজখুজি শুরু করে। সকাল ১০টার দিকে স্থানীয়রা বাড়ি থেকে একশ মিটার দূরে একটি ধানখেতে মাটিতে মুখ থুবড়ে থাকা অবস্থায় তার মায়ের মরদেহ দেখতে পেয়ে তাকে খবর দেয়। তার মায়ের শরীরে গলায়, বুকে ও পাজরে কালো দাগ ছিল বলেও সে জানায়।
নিহতের ভাই জায়দুল ইসলাম জানান, তারা উপজেলার উত্তরগ্রাম ইউনিয়নের বামনসাতা গ্রামের খাজির উদ্দিনের সন্তান। ২৫ বছর আগে তার বোন নাছিমা বেগমের বিয়ে হয়। তার দুলাভাই ও ভাগ্নে উভয়েই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। শনিবার সকাল ১০টায় তারা খবর পান যে, তাদের বোন মারা গেছেন। পরে তারা বিষয়টি নওহাটা ফাঁড়ি পুলিশকে জানান।
নওহাটা ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই জিয়া জানান, খবর পেয়ে তিনি, নওগাঁ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) একেএম মামুন চিশতি, মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজম উদ্দিন মাহমুদ, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআইয়ের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা মহিলা পুলিশ দিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ মর্গে পাঠান। পুলিশের ধারণা তাকে হত্যা করে ফেলে রাখা হয়।
মহাদেবপুর থানার ওসি আজম উদ্দিন মাহমুদ জানান, এব্যাপারে নিহতের ভাই জায়দুল ইসলাম বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে মহাদেবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।