বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
আউটারবারে ড্রেজিং হওয়ার পরও পলি পড়ে গভীরতা কমে যাওয়ায় পশুর চ্যানেলের হিরণপয়েন্ট এলাকা থেকে মোংলা বন্দরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারছেনা দুইটি বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজ। জাহাজ দুইটি গত ৪/৫ দিন ধরে হিরণপয়েন্ট সংলগ্ন আউটারবারে অবস্থান করছে। সেখানে পণ্য খালাস করে গভীরতা কমিয়ে জাহাজ দুইটি উপরে আনা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট শিপিং এজেন্টরা।
বন্দরের সংশ্লিষ্ট শিপিং এজেন্ট জানায়, পানামা পতাকাবাহী 'এম,ভি সিএস ফিউচার' ও টুভ্যালু পতাকাবহী 'এম,ভি পাইনিয়র' পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দরের আউটারবারে (বহিঃনোঙ্গর) চার/পাঁচ দিন ধরে অবস্থান করছে। নাব্যতা সংকটের কারণে বিদেশী এই জাহজ দুইটি বন্দরে প্রবেশ করতে পারেনি। জাহাজ দুইটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এফএমএস মেরিটাইমের খুলনাস্থ ব্যবস্থাপক মোঃ বিপ্লব ও পার্ক শিপিংয়ের চট্টগ্রামের সত্ত্বাধিকারী মোঃ হুমায়ুন কবীর পাটোয়ারী বলেন, আউটারবারে সাড়ে ৯ মিটার জাহাজ প্রবেশে ড্রেজিং করা হলেও তাদের জাহাজ দুইটি সাড়ে ৯ মিটারেরও কম। শত শত কোটি টাকা খরচ করে ড্রেজিং করে লাভ হলো কি? আমাদের এখন মোটা অংকের টাকা ডেমারেজ (ক্ষতি) দিয়ে লাইটার পাঠিয়ে পণ্য খালাস করতে হবে সেখান থেকে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্য প্রায় ২৩ হাজার মেট্টিক টন ইউরিয়া সার নিয়ে নয় দশমিক তিন মিটার গভীরতার পানামা পতাকাবাহী এম,ভি সিএস ফিউচার জাহাজ হিরণপয়েন্টের পাইলট ষ্টেশনে নোঙ্গর করে। এরপর ১ অক্টোবর প্রায় ১১ হাজার মেট্টিক টন সিরামিক পণ্য নিয়ে আসে টুভ্যালু পতাকাবাহী আরেকটি বিদেশি জাহাজ এম,ভি পাইনিয়র ড্রিম। নাব্যতা কম থাকায় জাহাজ দুইটি বন্দরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারেনি। এ বিষয়ে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দীন বলেন, আপনাদের জানা উচিত ড্রেজিং করার পর ওই জায়গায় আবার পলি পড়ে ভরাট হয়। এরপর বর্ষা মৌসুমে আরও খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আউটারবারে ড্রেজিং করতে একটি হোপার ড্রেজার সেখানে পাঠানো হয়েছে। আর জাহাজ ঢুকতে না পারার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা মেজর সমস্যা না, ওখানে লাইটার দিয়ে কিছু পণ্য খালাস করে তারপর অনায়াসেই বন্দরে জাহাজ দুইটি ঢুকতে পারবে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী (সিভিল ও হাইড্রোলিক) ও আউটারবার ড্রেজিংয়ের পিডি মোঃ শওকত আলী বলেন, প্রায় ৭শ কোটি টাকা ব্যয়ে মোংলা বন্দরের আউটারবারের ১১ কিলোমিটার নদী পথের খনন কাজ শেষ হয়েছে ২০২০ সালের ডিসম্বরে। এখন সেখানে কিছুটা পলি পড়ে গভীরতা কমে যাওয়ার কারণে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তবে গত দুইদিন ধরে সেখানে হোপার ড্রেজার দিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে।