নদী ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ: বগুড়ার ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা
মোঃ জহুরুল ইসলাম সৈকত, বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘকে (টিএমএসএস) ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জরিমানার টাকা অনাদায়ে তিনমাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সদর উপজেলার নওদাপাড়া এলাকায় করতোয়া নদীর একাংশে মাটি ভরাট করে রাস্তা তৈরি করার অভিযোগে এ জরিমানা করা হয়। সোমবার (২০ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফিরোজা পারভীন জরিমানার এ আদেশ দেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, গত শনিবার (১৮ মার্চ) করতোয়া নদী ভরাটের অভিযোগ পেয়ে টিএমএসএসের ইকোপার্কে ইউএনও ফিরোজা পারভীন অভিযান চালান। পরে কাগজপত্র নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন টিএমএসএসের নির্বাহী পরিচালক হোসনে আরা বেগম। তিনি দাবি করেন, যে জায়গা ভরাট করা হচ্ছে সেটি তার নিজের জায়গা। পরে হোসনে আরা বেগমের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়।
মুচলেকায় বলা হয়, টিএমএসএস যদি নদীর জমি ভরাট করে বা নদীর সীমানা অতিক্রম করে তাহলে দুই পক্ষের সার্ভেয়ার দিয়ে জরিপ করা হবে। এতে অপরাধ প্রমাণ হলে সাজা মেনে নেওয়া হবে।
ইউএনও ফিরোজা পারভীন বলেন, শনিবার এসে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিলেও সেটি অমান্য করে কাজ চলমান রাখে টিএমএসএস। এখানে করতোয়া নদীর মূল প্রবাহকে বাধগ্রস্ত করে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। যেটি বলা হয়েছিল এলাকার মানুষ করেছেন। তবে আমি সরেজমিন স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি তারা এটা করেননি এবং তারাও চান না নদীর স্রোত বন্ধ হোক। তারা জানিয়েছেন টিএমএসএসের নির্দেশে এ কাজ চলছে।
তিনি বলেন, নদী ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করার অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। এজন্য টিএমএসএসকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা প্রদানে ব্যর্থ হলে টিএমএসএসের পক্ষে প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র সহকারী পরিচালক নজিবর রহমান তিনমাসের কারাভোগ করবেন।
এ বিষয়ে টিএমএসএসের নির্বাহী পরিচালক হোসনে আরা বেগম বলেন, নদীর ওপর যে রাস্তা করা হয়েছে তা সাময়িক, যা এ অঞ্চলের মানুষ যাতায়াতের জন্য নির্মাণ করেছেন। এরসঙ্গে টিএমএসএসের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ফলে এ রায় টিএমএসএসের জন্য হতে পারে না। এজন্য ইউএনওকে রায় স্থগিত রাখার অনুরোধ করা হয়েছে।।