নদী রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের অনুমোদন, প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানো আনন্দ মিছিলে- হামলার অভিযোগ।
জিহাদ হোসেন রাহাত।
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেকে) সভায় লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগরের নদীবাঁধ প্রকল্প পাস করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১লা জুন) একনেক বৈঠকে রামগতি-কমলনগরের অব্যাহত নদীভাঙন রোধে গৃহিত প্রকল্পে স্বাক্ষর করেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনের সাংসদ মেজর (অবঃ) আবদুল মান্নান।
এর আগে ১৭মে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে তিন হাজার ৮৯ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা বরাদ্দের ফাইল স্বাক্ষর করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
স্থানীয় সূত্র বলছে, মেঘনার অব্যাহত ভাঙনে বিলীন হচ্ছে লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগরের বিস্তীর্ণ জনপদ। নদীভাঙনে বিলীন হচ্ছে দুই উপজেলার ৩২কিলোমিটার এলাকা। প্রতিনিয়ত জলোচ্ছ্বাসে ভাসে নদীতীরের বাসিন্দারা।
নদীভাঙন রোধে একনেকে গৃহিত প্রকল্প পাসের দাবিতে গতকাল কমলনগরের মেঘনাতীরে মানববন্ধন করেছে নদীভাঙন রোধে আন্দোলনরত সংগঠন কমলনগর-রামগতি বাঁচাও মঞ্চ।
একনেকে প্রকল্প পাসের খবরে খুশির জোয়ার বইছে ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষের মাঝে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নদীভাঙন রোধে প্রকল্প পাসে প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ দিচ্ছেন অনেকে।
প্রকল্প পাস করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পানি সম্পদ কর্ণেল ফারুক ও স্থানীয় এমপি মেজর (অবঃ) আবদুল মান্নাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কমলনগর-রামগতি বাঁচাও মঞ্চের আহবায়ক, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট আব্দুস সাত্তার পালোয়ান। পাশাপাশি সংগঠনটি আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণের আয়োজন করেছে।
সন্ধ্যায় উপজেলা শহর হাজিরহাটে কমলনগর-রামগতি বাঁচাও মঞ্চ নামের একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে মিছিল করতে গেলে তাতে বাঁধা ও হামলা করা হয় বলে অভিযোগ করেন, ওই সংগঠনের আহবায়ক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট আব্দুস সাত্তার পালোয়ান। তিনি কমলনগর প্রেসক্লাব ও নিজের ফেসবুক লাইভে এসে ঘটনার বিস্তারিত জানান। এ ঘটনার জন্য তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের ২জন নেতাকে দায়ী করেন। এ সময় হামলায় সামাজিক সংগটনের ৫জন কর্মী আহত হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন।