স্বপন রবি দাশ, নবীগঞ্জ থেকেঃ
হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জের সাদুল্লাপুর- গহরপুর রাস্তাটির দেড় কিলোমিটার অংশে স্বাধীনতার অর্ধশত বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এতে প্রতিদিন চাকুরীজীবি, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী, রোগীসহ এখানকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করনে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
উল্লেখ্য মাটির এই রাস্তাটির সংস্কার বা উন্নয়নে বছরের পর বছর স্থানীয় গ্রামবাসী আশার বানী শুনে আসছে।
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের সাদুল্লাপুর শুকুর মিয়ার বাড়ী হইতে আমতৈল ও গহরপুর পর্যন্ত রাস্তাটির অবস্থান। এই সাদুল্লাপুর গ্রামের পাশেই ৫ টি গ্রামের মানুষের চলাচলের সড়ক এটি। প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটিতে স্বাধীনতার পর গত অর্ধশত বছরেও উন্নয়নের কোন ছোঁয়া লাগেনি। এলাকায় ৪ হাজারেরও বেশী লোকের বসবাস। গ্রামে রয়েছে সরকারী-বেসরকারী চাকুরীজীবি, ব্যবসায়ী, কৃষকসহ অনেক শিক্ষার্থী।
সড়কটি বর্ষায় ব্যবহারের পুরোপুরি অনুপযোগী হয়ে পড়ায় প্রতিদিন অবনর্ণীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকার মানুষজনদের। এসময় রিক্সা, সিএনজি অটোরিক্সা, ইজিবাইকসহ ছোট ছোট যানবাহন চলাচল একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। এসময়ে পায়ে হেঁটেই যাতায়াত করতে হয় গ্রামবাসীর।
সাদুল্লাপুর গ্রামের সন্তান আকরুজ্জামান চৌধুরী, খালেদ মিয়া, সফিক মিয়া, আকলু মিয়া প্রমুখ জানান, উল্লেখিত গ্রামগুলোর অধিকাংশ বাসিন্দাই কৃষি কাজ করেই জীবিকা নির্ভর করেন। সড়কটিতে যান চলাচলের অসুবিধার কারণে আমাদের উৎপাদিত পন্য বাজারে নিয়ে যেতে শ্রমিকদের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এর জন্য অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে কৃষকদের। বর্ষার পুরো সময়ই সড়কটি ব্যবহারের অনুপযোগী থাকায় রোগী,বয়স্ক লোকজন কিংবা অসুস্থ গর্ভবতী মহিলাদেরও অবর্ননীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
কথা হয় এলাকার জিলু মিয়া, কবির মিয়া, সিএনজি চালক মিলন মিয়ার সাথে। তারা জানান,ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় মহাসড়কের পাশে নিরাপদস্থানে গাড়ি রেখে পায়ে হেটে বাড়িতে আসা-যাওয়া করতে হয় আমাদের। এই সড়ক পথেই রয়েছে সাদুল্লাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শাহ সায়দা গাউছিয়া দাখিল মাদ্রাসা।
এছাড়াও সাদুল্লাপুর কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে এখানে। কিন্তু দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটির সংস্কার না হওয়ায় কার্যত সবকিছুতেই স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম হোসেন রাজু ও কুর্শি ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহমেদ মুছা'র মুঠো ফোনে কল দিয়েও কাউকে পাওয়া যায় নি। সাবেক এমপি আব্দুল মুমিন চৌধুরী বাবু এই সড়কটি সংস্কারের ওয়াদা দিলেও সেটা বাস্তবায়িত হয়নি। বর্তমান এমপিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট উল্লেখিত এলাকাবাসীর দাবী যত দ্রুত সম্ভব মানুষের জনদুর্ভোগ নিরসনে সাদুল্লাপুর-গহরপুরের এ রাস্তাটির সংস্কার করা।