এস এম অলিউল্লাহন,বীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
অবশেষে দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীদের তোপের বিভিন্ন তালবাহানায় হাতিয়ে নেওয়া ঘুষের অর্থ তাদের ফেরত দিতে শুরু করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার পরিচালনা কমিটি। শুক্রবার সকালে বাঙ্গরা বাজারে লিষ্টকৃত ১০৪ জনের মধ্যে ৫৯ জন দোকান মালিকদের অর্থ বাজার পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে আব্দুল বাতেন মেম্বার বুঝিয়ে দেন এবং বাকী থাকা দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীদেরও দ্রুত টাকা ফেরত দিবেন বলে তিনি আশ্বস্ত করেন। নিজেদের অর্থ ফেরত পেয়ে বেশ উচ্ছাসিত ছিলো দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীরা।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ফোরকানুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান মজনু সরকার ও শামীম মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য সোলেমান মিয়া, শহীদ মিয়া, মোশারফ হোসেন প্রমুখ। তবে এসময় বাঙ্গরা বাজার পরিচালনা কমিটির কোন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি।
কয়েক ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকার পতনের আগে বাজার কমিটির বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পেতো না। তারা প্রত্যেক দোকানদারদের থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও দোকান ভাঙ্গার ব্যাপারে আমাদের কোনো কিছু জানানো হয়নি। তারা আরো জানান, এ কমিটি বিগত দিনে বাজারের কোন উন্নয়ন তো করেনি বরং বাজারটাকে বিভিন্নভাবে লুটপাট করে ধ্বংস করে দিয়েছে।
এব্যাপারে বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ফোরকানুল ইসলাম সকল দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীদের ধৈর্য্য ধরার আহবান জানান এবং তাদের সকল টাকা ফেরতের ব্যাপারে তারা সর্বাত্বক সহযোগীতা করবেন বলে জানান।
এসময় বাঙ্গরা বাজার কমিটির কোন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত না থাকায় তাদের কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, বাঙ্গরা বাজার পরিচালনা কমিটি দোকান নির্মাণের অনুমতি ও প্রশাসনসহ নেতাদের ম্যানেজ করার জন্য স্থানীয় প্রায় শতাদিক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠে। সম্প্রতি জেলা প্রশাসক উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে ওই সরকারি জায়গায় নির্মিত অবৈধ দোকানগুলো ভেঙে দেন। এর ফলে দোকান নির্মাণের জন্য অনুমতি ও ম্যানেজ করার জন্য বাজার কমিটিকে যে টাকা দিয়েছিলেন, তারা এখন নিজেদের প্রাপ্য টাকা ফেরতের দাবীতে ফুসে উঠেছিলেন।