নবীনগরে বিনা নোটিশে মিটার খুলে নেয়ায় বিদ্যুৎ বিহীন বাড়িতে ভাড়াটিয়া শূন্য।
এস.এম অলিউল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
নবীনগর উপজেলার পৌর এলাকার কলেজ পাড়ায় নিজের বাড়িতে একাধিক মিটার থাকার অভিযোগে একটি ছাড়া বাকি মিটার গুলো বিনা নোটিশে খুলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে নবীনগর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির উপর।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক মিটার থাকার বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি শুরু হওয়ার পর নবীনগর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির অফিসের লোকজন বিনা নোটিশে একটি মিটার রেখে বাকি ৭টি মিটার খুলে নিয়ে আসেন।
এরপর থেকেই বাড়ির মালিক লিয়াকত হোসেন এর সব ভাড়াটিয়ারা চলে যায় তার বাড়ি থেকে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,লিয়াকত আলীর কলেজ পাড়ায় দুটি কলোনিতে ২০টি পরিবার ভাড়া থাকতো।
তাদের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করতে তিনি নিজ নামে কয়েকটি মিটার নেন।
পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির নিয়ম অনুযায়ী মিটার গুলো একি জায়গা স্থাপন করেন পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির লাইনম্যানরা।
কোন বিদ্যুৎ বিল বকেয়া না থাকলেও প্রতিবেশী একজনকে বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণের তার বাড়ির উপর দিয়ে নিতে গেলে তিনি এই বিষয়ে বিদ্যুৎ অফিসে লিখিত ভাবে অভিযোগ করেন।
তার পর থেকেই ক্ষিপ্ত হয়ে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির লোকজন বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে তাকে কোন কিছু না জানিয়ে কোন নোটিশ ছাড়াই একটি মিটার রেখে সবগুলো মিটার খুলে নিয়ে যায়।
এতে করে বিদ্যুৎ শূন্য হয়ে পড়ে বেশ কিছু পরিবার।
কয়েকদিনের মধ্যেই এসকল ভাড়াটিয়ারা লিয়াকত আলীর বাড়ি ছেড়ে চলে যায়,এতে করে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে লিয়াকত।
গণমাধ্যমকে তিনি জানান,আমার কোন বিল বকেয়া নেই,আমি আমার বাড়িতে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির নিয়ম অনুযায়ী মিটার স্থাপন করেছি।
একটি অপশক্তির ইন্দনের বিদ্যুৎ অফিস আমার সাথে এমন আচরন করছে, তাদের কারণে আজ আমি ভাড়াটিয়া শূন্য হয়ে গেছি,আমার এতবড় ক্ষতির কারণ কি আমি জানতে চাই ?
এই বিষয়ে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির নবীনগর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শেখ মনোয়ার হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ভিডিও বক্তব্য দিতে অস্বীকার করেন।
এতো গুলো মিটারতো সমিতির নিয়ম অনুযায়ী স্থাপিত হয়েছে তাহলে কেন এগুলো খোলা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,আমরা জিএম সাহেব এর নির্দেশে এগুলো খুলেছি।
পরে খোঁজ খবর নিয়ে দেখেছি তার একটি খুঁটি দরকার তাই আমরা তাকে খুঁটির ব্যবস্থা করে দিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট চিঠি দিয়েছি।
আশাকরি সহসাই এই ঘটনার সমাধান হবে।