এস.এম অলিউল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কাইতলা জমিদার বাড়ির শত বছরের পুরনো সরকারী দিঘীটি কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ নেতা কাজী ফেরদৌস ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উঠেছে।
জানাযায়,কাইতলা রামনগর মৌজার ১৮০/১৩৬দাগের ৩.১৬ একর দিঘীটির চতুরপাশ ঘেসে প্রায় দুই শতাধিক পরিবারের বসবাস,এই দিঘীটির পূর্বাপাশে জনসাধারণের যাতায়াতের জন্য রেকর্ডের রাস্তা ছিল। দীর্ঘদিন যাবত এই জমিদার বাড়ির দিঘীটি সেচ না করায় রেকর্ডের রাস্তা সহ আসপাশের বাড়িঘর দিঘীর মাঝে বিলিন হয়ে যাচ্ছে,তাই সাধারণ জনগণ ও স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীসহ আশপাশের লোকজন বাজারে যাতায়াতের অনেক বেগাত ঘঠে ।
কাইতলা দঃ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শওকত আলী জানান,কাইতলা জমিদার বাড়ির শত বছরের পুরনো দিঘীর পাশে বসবাসরত সকল জনগণের দাবি দিঘীটি অবমুক্ত করে চতুরপাশের রাস্তা গুলো সংস্কার করে তাদের ভিটে বাড়ি গুলো বাঁচানো এবং যাতায়েত কারিদের যাতায়াতের সুবিধা করে দেওয়া।
কাজী ফেরদৌস বারবার এই দিঘীটি লিজ এনে দখলে রেখেছে , গতবছরও খাস কালেকশন নিয়ে আসছে টেন্ডার ছাড়া, তার মেয়াদ চলে গেলেও সে পুনরায় দিঘীটি আবার দখল করে রেখেছেন।
এই দিকে অভিযোগ তুলেছে ইজারাদার কাজী ফেরদৌস। তিনি অভিযোগ তুলেন জমিদার বাড়ির পুকুরটি সরকারি খাস খতিয়ানে যাওয়ার পর শওকত আলী চেয়ারম্যান তার সাঙ্গপাঙ্গ দিয়ে ১৯৯৭ সালে তৎকালীন সাংসদ এডভোকেট আবদুল লতিফের সময় জাল দলিল করে আত্মসাৎ করার পায়তারা করে।পরে ঐ সংসদ সদস্যের নির্দেশে কাজী ফেরদৌস সভাপতি হয়ে এলাকার মৎসজীবিদের নিয়ে তিতাস মৎসজীবি সমবায় সমিতি গঠন করে জাল দলিলের বিরুদ্ধে নবীনগর থানায় মামলা দায়ের করেন।এতে শওকত গংরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে সাংসদ এডভোকেট আবদুল লতিফ মারা যাওয়ার পর কাজী আনোয়ার নবীনগরের সংসদ সদস্য হওয়ার পর বিষয়টি সমাধান করে দিয়ে তিতাস মৎসজীবি সমিতি কে ৩ বছরের ইজারা দেয়।দীর্ঘদিন ধরে ইজারা নেয়া ঐ মৎসজীবি সমিতির সদস্যদের মৎস কার্ড না থাকায় ২০২২ সালের খাস কালেকশনে নিয়ে সরকার ঐ সালের ১৯ মে কাজী ফেরদৌস কে এক অর্থ বছরের জন্য ইজারা দেয়।কিন্তু ইংরেজি মাসের হিসেব মতে চলতি মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত সময় থাকা সত্বেও ৪ মে কাইতলা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আলী তার সাঙ্গপাঙ্গ দিয়ে পুরো পুকুরে মাছ বাঁশ লুটপাট করে নিয়ে যায়। কাজী ফেরদৌস তার লোকজন নিয়ে পুকুরে বাঁধা দিতে গেলে উল্টো হুমকি ধামকির স্বীকার হয়ে বিষয়টির প্রতিকার চাইতে উপজেলা প্রশাসন কে অবগত করে।
উপেজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক বলেন এলাকার আইন-শৃঙ্খলা ঠিকরাখা তার পাশাপাশি এলাকার মানুষজনের স্বার্থ সমর্থন ঠিক রাখা স্কুলও যাতে একটা লভ্যাংশ পায়,এলাকায় দাঙ্গা হাঙ্গামা যাতে সৃষ্টি না হয়, সরকারী রাজস্ব ঠিক রেখে আইনের মাধ্যমে ফেরদৌস ও চেয়ারম্যানের মধ্যে এ সাপ্তাহে বিষয়টক সমাধান করে দিব।
Leave a Reply