নরসিংদী প্রতিনিধি: নরসিংদীতে জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে ১৪ বছর পর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীরা পেল বেতন-ভাতা। এতে শিক্ষক-কর্মচারীরা মুখে দেয়া যায় আনন্দের জিলিক। বুধবার শহরের ভেলানগর এলাকায় জেলা প্রশাসন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের অস্হায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রতিকী জন্মদিনের অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম শিক্ষক ও কর্মচারীদের হাতে এ বেতন-ভাতা তূলে দেন। জানা যায়, দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে বিনা বেতনে প্রায় দেড় শতাধিক শিশুদের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়টি পাঠদান করে আসছিলেন। বিষয়টি নরসিংদী জেলা প্রশাসকের নজরে আসলে তিনি উদ্যোগী হয়ে মানবিক দিক বিবেচনা করে এ বেতন-ভাতার ব্যবস্হা করেন। এ প্রেক্ষিতে বিদ্যালয়ে কেক কেটে প্রতিকী জন্মদিন পালন করেন নরসিংদী জেলা প্রশাসন। নরসিংদী জেলা প্রশাসক ও স্কুলের সভাপতি ড. বদিউল আলমের সভাপতিত্বে স্থানীয় আব্দুল মজিদ মোল্লা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শিল্পপতি আব্দুল কাদির মোল্লা এতে প্রধান গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন সরকারের পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) অঞ্জন দাস, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ডেপুটি নেযারত কালেক্টর শিহাব সারার অভি, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক, মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র কর্মকর্তা, নঈমা আক্তার, সুইড বাংলাদেশ নরসিংদী শাখার সাবেক সদস্য সচিব, নাজমুল হক ভূইয়া, বর্তমান সুইড বাংলাদেশ নরসিংদী শাখার সদস্য সচিব, এডভোকেট আমিনুল হক রানাসহ অন্যরা। আলোচনা সভা শেষে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীকে জেলা প্রশাসক ও বিদ্যালয়ের সভাপতি, ড. বদিউল আলমের নিরলস প্রচেষ্টায় মাসে ১২জন শিক্ষক -কর্মচারির বেতন- ভাতা প্রদান করে যাবেন ঘোষণা করেন এবং চলতি মাসের ভাতা অগ্রিম প্রদান করেন। পরে অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে প্রতিকী জন্মদিনের কেক কাটেন অতিথিগণ। উল্লেখ্য যে,নরসিংদী জেলা শহরের একমাত্র অটিজম আক্রান্ত শিশুদের নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। এখানে লেখাপড়ার পাশাপাশি শারীরিক ব্যায়াম ও থেরাপি দেয়া হয়। এসময় অতিথিগণ বলেন, এই শিশুদের একেকজন হতে পারেন ভবিষ্যতের বাতিঘর। এর জন্য আজকে এই শিশুদের মা-বাবার কস্ট করতে হচ্ছে। এই শিশুদের জন্য মান সম্মত একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫০ শতক জায়গা ও শিল্পপতি আবদুল কাদির মোল্লার পক্ষ থেকে ভবন করে দেয়ার ঘোষনা দেন