আশরাফুল ইসলাম সবুজ
নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি :-
নরসিংদীর রায়পুরায় বাসের চাপায় মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের উপজেলার মরজাল বাসস্ট্যান্ডের পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে এ দূর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, উপজেলার মরজাল এলাকার মো. মারুফ মিয়ার স্ত্রী টুম্পা বেগম (২৫) ও মেয়ে নিশি (৬)।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, টুম্পা বেগম প্রতিদিনের ন্যায় সকালে মেয়ে নিশিকে হলি ফ্লাওয়ার স্কুলে দেয়ার জন্য যাচ্ছিলেন। তিনি মরজাল বাসস্ট্যান্ডের পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে মহাসড়ক পারাপার হওয়ার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ছেড়ে আসা তিশা পরিবহনের বাস তাদের চাপা দেয়। এতে বাসের চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই নিশি মারা যায়। আর টুম্পাকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থা গুরুতর দেখে কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ঢাকা মেডিক্যার কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে টুম্পা বেগম মারা যায়।
দূর্ঘটনায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিতের জন্য ভৈরব হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক এর কাছে তথ্য চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে যান। তিনি বলেন, বাসের চাপায় ঘটনাস্থলেই একজন মারা গেছে। আর একজনকে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আমরা লাশ না দেখে কিছু বলতে পারবো না। আর মেয়ের মরদেহের সুরতাল করা হয়েছে। পরিবারের বিনা ময়নাতদন্ত করে লাশ নিয়ে যাওয়ার আবেদন করেছে। এঘটনায় ঘাতক বাসকে আটক করা গেলেও চালক পলাতক রয়েছে। আর এঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
মহাসড়কের উপর সবজির হাট বসার কারণে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ঘটছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মহাসড়কের দায়িত্ব সড়ক ও জনপদ বিভাগের। তারা মহাসড়ক দেখাশোনা করে থাকেন। তাদের আমরা সহযোগীতা করে থাকি। আমরা ইতিমধ্যে মাননীয় জেলা প্রশাসকের সাথে মিটিং কালে মহাসড়ক থেকে হাটগুলো সড়ানোর জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্টেট এর মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করতে বলেছি। এগুলো মহাড়ক থেকে সড়ানো গেলে দূর্ঘটনা অনেক কমে যাবে।